পটনা, 22 জুন: বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লালুপ্রসাদ যাদবের এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে । পটনায় এসে লালুপ্রসাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে পৌঁছন মমতা । বাড়িতে ছিলেন তেজস্বী যাদব, লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী রাবড়ী দেবীও । এদিন মমতার সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম । দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্যে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁদের বাড়ি যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তেজস্বী যাদব । বিহার পৌঁছেই সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে লালু-সাক্ষাতে গেলেন মমতা ।
মিনিট কুড়ি কথোপকথন হয় দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের । বেশিরভাগটাই ছিল কুশল বিনিময় । এদিন লালুপ্রসাদ যাদব এবং তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে জানতে চান মমতা । এদিন কলকাতা থেকে সকলের জন্যই আলাদা আলাদা করে উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি । সঙ্গে ছিল কলকাতার মিষ্টি এবং ফুলও । অন্যদিকে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি শাড়ি উপহার দিয়েছেন লালুপত্নী রাবড়ি দেবী। একইসঙ্গে যাদব পরিবারের তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে একটি বুদ্ধমূর্তিও তুলে দেওয়া হয় । আর দেওয়া হয় মধুবনী কাজ করা উত্তরীয় ।
বিরোধী বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে আলাদা করে লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে যাওয়া বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল । একদা লালুপ্রসাদ যাদব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একইসঙ্গে লোকসভায় দেখা গিয়েছে । দু'জনেই আলাদা করে কেন্দ্রে রেলমন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলেছেন ।
এদিন লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "বিহারে এসে আমার খুব ভালো লাগে । বিহারের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়, মধুবনী কাজ আর এখানকার মিষ্টি আমি খুব পছন্দ করি । লালুপ্রসাদ যাদবকে আমি খুব সম্মান করি । ওনার সঙ্গে দেখা করে খুব ভালো লাগছে । তিনি দেশের প্রবীণ নেতা । তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছিল, হসপিটালেও ছিলেন । ওনার শরীরের ব্যাপারে আমরা খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম । এখন তাঁকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় দেখে ভালো লাগছে । বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি এখনও লড়াই করতে পারেন । এই কারণেই আমরা বিহারে এসে সবার প্রথম লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করেছি ।"