নয়াদিল্লি, 5 এপ্রিল: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ আনলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ৷ রাহুল গান্ধির ক্ষেত্রে 24 ঘণ্টার মধ্যে সাংসদ পদ খারিজের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, গুজরাতের বিজেপি সাংসদ অপরাধের মামলায় 3 বছরের কারাদণ্ড পেলেও, তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়নি ৷ এই অভিযোগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছেন তিনি ৷ যদিও, পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টে সেই রায় খারিজ হয়ে গিয়েছিল ৷
উল্লেখ্য, গুজরাতের আমরেলির সাংসদ নারানভাই ভিখাভাই কাচ্ছাড়িয়াকে 3 বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত ৷ সেই রায়ের পরেও আমরেলির সাংসদ 16 দিন সংসদের অধিবেশনে অংশ নিয়েছিলেন ৷ আর সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, গুজরাতের সাংসদকে অধিবেশনে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৷ আর একজন সত্যি কথা বলায় তাঁকে সংসদ থেকে বের করে দেওয়া হল ৷ আর এই আচরণকে মোদি সরকারে চূড়ান্ত ভণ্ডামি এবং দ্বিচারিতা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি ৷
আমরেলির সাংসদ নারানভাই ভিখাভাই কাচ্ছাড়িয়াকে একটি অপরাধের মামলায় 3 বছরের কারাদণ্ড দেয় সেখানকার স্থানীয় আদালত ৷ সেই রায় বহাল রেখেছিল জেলা আদালত এবং আমেদাবাদ হাইকোর্ট ৷ তারপরেও টানা 16 দিন ওই সাংসদের পদ খারিজ করার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি ৷ কিন্তু, রাহুল গান্ধির ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ গতিতে সব কাজ হয়ে গেল, বলে কটাক্ষ করেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে ৷ টুইটারে এ নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় খাড়গে এও লেখেন, "সবাই দেখতে পাচ্ছে যে, মোদি সরকারে একজনকে ছাড় দেওয়া হয় ৷ আর একজনকে শাস্তি দেওয়া হয় ৷"
আরও পড়ুন:'দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সমাজের জন্য জরুরি', মন্তব্য প্রধান বিচারপতির
এই ইস্যুতে আলোচনা করতে লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে একটি চিঠি দিয়েছেন ৷ সেখানে রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছেন তিনি ৷ উল্লেখ্য, সুরাত জেলা আদালত রাহুল গান্ধিকে 23 মার্চ দোষী সাব্যস্ত করে 2 বছরের কারাদণ্ড দেয় ৷ রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ওবিসি সমাজকে অপমানের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল ৷