হাথরস, 2 মার্চ: উত্তরপ্রদেশের হাথরস গণধর্ষণ এবং খুনের (Hathras Gang Rape and Murder Case) ঘটনায় রায় ঘোষণা করল স্থানীয় একটি আদালত ৷ ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার তাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা (Life Imprisonment) দেওয়া হয় ৷ তবে, 2020 সালের ওই নারকীয় কাণ্ডে অভিযুক্ত ছিলেন একাধিক ৷ কিন্তু, সংশ্লিষ্ট মামলায় মূল অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে ধৃত বাকি তিনজনকে খালাস করার নির্দেশ দেয় আদালত ৷ যদিও দোষীর আইনজীবী মুন্না সিং পুন্দির দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি ৷
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখার পর এবং সাক্ষীদের বয়ান শুনে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত 20 বছরের সন্দীপকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক ৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির 304 ধারায় সন্দীপকে দোষী ঘোষণা করা হয় ৷ তবে, এই ধারাটি 302 ধারার থেকে লঘু ৷ 302 ধারায় সরাসরি খুনের দায় দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, 304 নম্বর ধারাটি অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ড বোঝায় ৷ এরই সঙ্গে, সন্দীপকে 50 হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হবে ৷ এই মামলায় ধৃত বাকি তিনজন হলেন রবি, লবকুশ এবং রামু ৷ এঁদের তিনজনের বয়স যথাক্রমে 35 বছর, 23 বছর এবং 26 বছর ৷ কিন্তু, এই তিনজনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়নি ৷ তাই তাঁদের খালাস করার নির্দেশ দেন বিচারক ৷
প্রসঙ্গত, হাথরস গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশ নয়, উত্তাল হয় গোটা দেশ ৷ যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে প্রশ্নের মুখ পড়ে নারী নিরাপত্তা ৷ উপরন্তু, এই ঘটনায় নিহত তরুণী দলিত হওয়ায় জাতপাতের রাজনীতিও শুরু হয় ৷ প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা ৷ তড়িঘড়ি নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেয় তারা ৷ তাতে অভিযোগ ওঠে, উচ্চবর্ণের অভিযুক্তদের আড়াল করতেই এই কাজ করা হয়েছে ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টারও অভিযোগ ওঠে ৷