নয়াদিল্লি, 2 মে:কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনামূলক নিবন্ধ লিখে শো-কজ নোটিশ পেয়েছেন বাম সাংসদ জন ব্রিটাস ৷ আর এই ঘটনায় কেরলের সিপিআইএম সাংসদ ব্রিটাসের পাশে দাঁড়ালেন মহুয়া মৈত্র, শশী থারুর ৷ বিরোধী শিবিরকে নিশানা করে কেন্দ্রের এই আচরণ আইনবিরুদ্ধ বলে আখ্যা দিলেন তাঁরা ৷ সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রে নিবন্ধ লেখেন কেরলের বাম নেতা তথা সাংসদ জন ব্রিটাস ৷ সেখানে দেশের পরিস্থিতিকে 'ভয়ঙ্কর' আখ্যা দিয়ে শাহি সমালোচনা করেন বাম সাংসদ ৷ সেই লেখার ব্যাখ্যা চেয়ে গত সপ্তাহে তাঁকে নোটিশ পাঠান রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় ৷
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ মহুয়া ৷ তিনি লেখেন, "সংসদের উচ্চকক্ষটি রাজ্যসভা, আরএসএস নয় ৷ কেউ ক্ষমতায় আসীন লোকজনদের এটা জানিয়ে দিন ৷" অন্য টুইটে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ লেখেন, "এমন হাস্যকর জিনিস আগে দেখিনি ৷ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে একজন মাননীয় সাংসদ সংবাদপত্রে কলাম লিখতেই পারে ৷ এজন্য বিজেপি নির্বাচিত রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তাঁকে কেন ডেকে পাঠাবে ?" প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার সাংসদ শশী থারুরও এ নিয়ে সরব হয়েছেন ৷ তিনি লেখেন, "এই ঘটনাটি ব্যতিক্রমী ৷" প্রসঙ্গত, থারুরও বিভিন্ন সংবাদপত্রে ও মাধ্যমে একাধিক রাজনৈতিক লেখা লেখেন ৷ অনেক ক্ষেত্রে সরকারের কড়া সমালোচনাও করে থাকেন তিনি ৷ তাই গোটা ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেন তিরুঅনন্তপুরের সাংসদ ৷
এ বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি টুইট করেন, "আমি বুঝতে পারছি না জগদীপ ধনকড়জি কীসের ভিত্তিতে একজন সাংসদকে তলব করলেন ৷ সাংসদ রাজ্যসভার বাইরে নিজের ক্ষমতায় তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছেন ৷ এক্ষেত্রে জন ব্রিটাসের এই তলবে সাড়া না-দেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে ৷" উল্লেখ্য, কেরলের সিপিআইএম সাংসদের লেখা এই নিবন্ধটি 20 ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় সংবাদপত্রের 'ওপিনিয়ন' বিভাগে প্রকাশিত হয় ৷