চেন্নাই, 18 সেপ্টেম্বর : মহাত্মা গান্ধির পোশাকে মুগ্ধ হয়েছিলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ৷ তিনি গান্ধিজীকে অর্ধনগ্ন ফকির বলেও উল্লেখ করেছিলেন ৷ 1921 সালের 22 সেপ্টেম্বর, আজ থেকে এক শতাব্দী আগে তাঁর গুজরাতি পোশাক পরিধান ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গান্ধিজী ৷ বদলে তিনি খাটো ধুতি ও শাল পরিধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৷ সেই সময় তিনি মাদুরাই (অধুনা চেন্নাই) সফরে এসেছিলেন ৷ তখনই তিনি এই পোশাক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৷ গান্ধিজীর এই পোশাক ব্যবহারের জন্য খাদি এম্পোরিয়াম একটা অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায় ৷ গান্ধিজী ভেবেছিলেন যে তিনি এমন কিছু একটা পোশাক পরতে চান, যার সঙ্গে তিনি গরিবদের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করতে পারেন ৷
গান্ধিজী বলেছিলেন, ‘‘আমার জীবনে যা যা বদল করেছি, তা কোনও না কোনও কারণে ৷ অনেক গভীর ভাবনাচিন্তার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ আর এই নিয়ে অনুতাপ করিনি ৷ এবং আমি সেগুলি করেছি, কারণ আমি সেগুলি করতে সাহায্য করতে পারিনি । আমার পোশাকে এই ধরনের আমূল পরিবর্তন আমি মাদুরাইতে প্রভাবিত হয়েই করেছি ।’’
মাদ্রাজ থেকে ট্রেনে ফেরার সময় বিদেশি জরিমানায় জর্জরিত সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন গান্ধিজী ৷ তাঁদের গান্ধিজী খাদি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন ৷ তখন তাঁরা উত্তরে বলেন, ‘‘এটা আমাদের খুবই প্রিয় ৷ কিন্তু অর্থের কারণে পরতে পারি না ৷’’ এই ঘটনা নিয়ে গান্ধিজী বলেছিলেন, ‘‘তখন আমি জামা, টুপি ও ধুতি পরে আছি ৷ তাঁরা যেগুলি বললেন, সেটা অর্ধসত্য ৷ আসলে তাঁরা তাঁদের লঙ্গোটি বাঁচাতে চার ইঞ্চি চওড়া করে এবং অনেক ফুট লম্বা করে কাপড় পরতেন ৷ সেটাই ছিল আসল সত্যি ৷ যদি আমি নিজেকে প্রতি ইঞ্চি পোশাক থেকে বিচ্ছিন্ন করতে না পারি এবং এই কাদামাখা মানুষের সঙ্গে নিজেকে বেশি পরিমাণে সামঞ্জস্য করতে না পারি, তাহলে আমি তাদের কী উত্তর দেব ? আর মাদুরাইতে পরের সকালে আমি সেটাই করেছিলাম ৷’’