নয়াদিল্লি, 16 ফেব্রুয়ারি: মহাশিবরাত্রি, যা দেশের অন্যতম শুভ উৎসব বলে বিবেচিত হয় ৷ এবছর মহাশিবরাত্রি (Mahashivratri) পালিত হবে 18 ফেব্রুয়ারি, শনিবার ৷ সুতরাং, এই দিন ভগবান শিবকে স্মরণ করতে প্রস্তুত থাকুন ৷ এটি বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, হিন্দু ক্যালেন্ডারের প্রতি চন্দ্র-সৌর মাসে একটি শিবরাত্রি থাকলেও মহাশিবরাত্রি প্রতি বছর শুধুমাত্র একবার পালিত হয়ে থাকে ৷ যা সাধারণত ফেব্রুয়ারি/মার্চ যখন শীত শেষ হয়ে বসন্তের শুরু তখনই পালিত হয় ৷ মহাশিবরাত্রিকে বিশেষভাবে শুভ বলে মনে করা হয় ৷ কারণ এটি শিব ও শক্তির মিলনের রাত ৷ যার অর্থ পুরুষ ও নারী শক্তি যা বিশ্বের ভারসাম্যকে বজায় রাখে ৷ শিব এবং শক্তি প্রেম ও একতার মূর্ত প্রতীক হিসেবে সম্মানিত হয় ৷
মহাশিবরাত্রির তাৎপর্য (Significance of Mahashivratri) বর্ণনায় ইতিহাসে বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ৷ এর মধ্যে কেউ কেউ বলেন, এই দিনে শিব ও দেবী পার্বতী গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ৷ আবার কারও কথায়, সমুদ্র মন্থনের সময় গরল বা বিষের পাত্রটি শিব গিলে ফেলার পরিবর্তে গলায় ধরে রেখেছিলেন ৷ সেই কারণে তাঁর গলা নীল হয়ে যাওয়ায় তিনি নীলকন্ঠ নামে পরিচিত হন ৷ উত্তরাখণ্ড থেকে শুরু করে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলাঙ্গানা-সহ দেশের প্রতিটি রাজ্যে মহাশিবরাত্রি উদযাপিত হয় ৷ ভক্তরা এই দিন মন্দিরে গিয়ে শিবলিঙ্গে দুধ, বেলপাতা, ধুতুরা ফুল, চন্দন, ঘি, চিনি ঢেলে নিজ নিজ মনোস্কামনা জানান ৷ এরপর ওই শিবলিঙ্গ বা মন্দিরের চারপাশে ঘুরতেও দেখা যায় ভক্তদের ৷ শিব ভক্তরা এদিন 24 ঘণ্টা উপোস করে পরের দিন তা ভাঙেন ৷
আরও পড়ুন :প্রবল বরফবৃষ্টিতে জ্বলজ্বল করছে তুষারশুভ্র কেদারনাথ ধাম
কেউ সারাদিন জল পর্যন্ত না খেয়ে নির্জলা উপোস করেন আবার কেউ সারাদিন রাগি, সাবুদানা, ফলমূল ও নিরামিষ শাকসবজি খেয়ে থাকেন ৷ আপনি যদি মহাশিবরাত্রির উপোস করেন তাহলে কী করা উচিত আর কী করা অনুচিত তা দেখে নিন ৷