সংবিধানের 39 এ ধারায় সমাজের গরীব ও দুর্বল অংশের জন্য বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং সবার জন্য ন্যায় সুনিশ্চিত করা হয়েছে । 1987 সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় চার দশক পর, ভারত সরকার সবার জন্য আইনি পরিষেবা সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে । 1987 সালে লিগাল সার্ভিসেস অথরিটিস অ্যাক্টকে সংসদে সম্মতি দেওয়া হলেও, 1995 সালে আইন বলবত হওয়ার পরেই ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি তৈরি হয় ।
গতবছর কোভিড যখন ভয়াবহ আকার নিয়েছিল, তখন দু’বার দেশে জাতীয় লোক আদালত আয়োজিত হয় এবং আদালতের বাইরে 12.6 লাখ বিবাদের মীমাংসা হয় ৷ আর 12.8 লাখ মামলায় 1000 কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয় ।
24 টি রাজ্যে অডিও-ভিস্যুয়াল মাধ্যমে ই-লোক আদালতের আয়োজন করা হচ্ছে এবং মানুষের কাছে দ্রুত ন্যায়বিচার পৌঁছে দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে । এর থেকেই স্পষ্ট যে আমাদের বিচারব্যবস্থা দ্রুত নতুন প্রযুক্তিকে আপন করে নিচ্ছে ।
লোক আদালতের সমকক্ষ কোনও ব্যবস্থা গোটা পৃথিবীতে দেখা যায় না । বছরের পর বছর ধরে অর্জিত অভিজ্ঞতায় ভর করে এই ব্যবস্থাকে আরও কার্যকরী করে তোলা উচিত । কোটি কোটি বিচারপ্রার্থী মানুষ যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন ৷ কারণ আমাদের বিচারব্যবস্থায় দশকের পর দশক ধরে মামলার পাহাড় জমতে থাকছে । কী করে পরিস্থিতি শুধরাবে, তা কেউ জানে না । কিন্তু প্রয়োগের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আসল সমস্যা ।
জেলা ও মহকুমা আদালতগুলোতে ঝুলে থাকা মামলার মধ্যে 17 শতাংশ দায়ের হয়েছে তিন থেকে পাঁচ বছর আগে । উচ্চতর আদালতগুলোতে 20.4 শতাংশ মামলা পাঁচ থেকে দশ বছর ধরে এবং 17 শতাংশ মামলা কুড়ি বছর ধরে ঝুলে রয়েছে ।