বারাসত, 31 অক্টোবর : 50 শতাংশ যাত্রী নিয়ে আজ থেকেই চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা ৷ রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে রেলযাত্রীরা খুশি হলেও আশঙ্কাও রয়েছে অনেকের মধ্যে । তাঁরা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন , লোকাল ট্রেনে কোভিড পরিস্থিতিতে 50 শতাংশ যাত্রী আদৌও বজায় থাকবে কিনা । বিশেষ করে দিনের ব্যস্ত সময়ে যেভাবে লোকাল ট্রেনে বাদুড়ঝোলা হয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়, সেটাই সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে রেলযাত্রীদের একাংশকে । এতে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কাও করছেন কেউ কেউ । তবে আশঙ্কা থাকলেও লোকাল ট্রেনের পরিষেবার ওপর যে সাধারণ মানুষ প্রচণ্ড নির্ভরশীল , সেকথাও বলতে ভুলছেন না যাত্রীরা ।
আরও পড়ুন :Mamata Banerjee : তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির বার্তা নিয়ে মমতার কাছে গোয়ার আঞ্চলিক দলের নেতারা
যাত্রীদের আশঙ্কা যে অমূলক নয় , তা লোকাল ট্রেন চালুর প্রথম দিনই দেখা গেল শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন বারাসত জংশনে । রবিবারেও কিছু ট্রেনে দেখা গেল থিকথিকে ভিড় । যার ফলে দফারফা হল শারীরিক দূরত্বও । করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে ছ'মাস আগেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে । তবে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, জরুরি কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা চালু রেখেছিল রেল কর্তৃপক্ষ । যদিও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই সেই ট্রেনে যাতায়াত করছিলেন সাধারণ মানুষ । ফলে আশঙ্কা বাড়ছিল সংক্রমণ বৃদ্ধির । এই পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য ক্রমাগত দাবি উঠছিল রেল যাত্রীদের তরফে । এই নিয়ে বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভও বাড়ছিল । তার জেরে লোকাল ট্রেন চালু করতে বারবার রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ । যদিও সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় তাতে এতদিন সিলমোহর দেওয়া হয়নি রাজ্যের তরফে । অবশেষে ছ'মাসের মাথায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার সবুজ সংকেত দেয় নবান্ন । তবে 50 শতাংশ যাত্রী নিয়েই আপাতত এই পরিষেবা চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন :Sukanta Majumdar : উপনির্বাচনে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়নি, অভিযোগ সুকান্তর
এক রেলযাত্রী বলেন, "50 শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা মুশকিল । যেহেতু আজ ছুটির দিন, সেই কারণে ট্রেনে ভিড় একটু কম রয়েছে । কিন্তু আগামীকাল সপ্তাহের প্রথম দিন । অফিস,কাছারি সবকিছুই খোলা । তখন আর আজকের মতো পরিস্থিতি থাকবে না । ভিড় ঠেলেই সবাইকে যাতায়াত করতে হবে । ফলে আশঙ্কাও থাকবে সংক্রমণ বাড়ার ।" আরেক যাত্রী বলেন, "লোকাল ট্রেন চালু হওয়া খুবই দরকার ছিল । এতে সবার সুবিধা হবে । তবে , সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে সচেতনও হতে হবে সাধারণ মানুষকে ।" সবমিলিয়ে , ছুটির দিনে লোকাল ট্রেনে ভিড় সামাল দেওয়া গেলেও আগামীকাল থেকে ভিড় কিভাবে সামাল দেওয়া যাবে সেটাই এখন দেখার ।