কলকাতা, 23 জুন: পাখির চোখ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন । বিরোধী জোটে শান দিতে তাই শুক্রবার এক মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধি-সহ প্রায় 15টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা । পটনায় নীতীশ কুমারের বাড়িতে এই বৈঠকের দিকে সেই কারণে নজর রয়েছে গোটা দেশের । বিরোধী জোটের এই মহাবৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এম কে স্ট্যালিন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভগবন্ত সিং মান, হেমন্ত সোরেন ও নীতীশ কুমার মোট এই ছ'জন মুখ্যমন্ত্রী । এছাড়াও রয়েছেন রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গে, শারদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদব, সীতারাম ইয়েচুরি, ওমর আবদুল্লা, উদ্ধব ঠাকরে, মেহেবুবা মুফতির মতো জাতীয়স্তরের নেতা-নেত্রীরা ।
বিজেপিকে হারানোর জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মনে করছে যে তাদের এক ছাতার তলায় আসা ভীষণ জরুরি । গত দু'বছর ধরেই এই আলোচনা চলছিল ৷ কিন্তু বিরোধীদের অভ্যন্তরীণ নানা কারণে এই এক ছাতার তলায় আসার কাজটা এতদিন হয়নি । এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি বহু জায়গায় বলেছে, আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের যে ভূমিকা তা বহু জায়গায় বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আসার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছিল ।
আরও পড়ুন:বিরোধী বৈঠকের আগেই একের বিরুদ্ধে এক নীতিতে সওয়াল মমতার
বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি । সেই জায়গায় অপেক্ষাকৃত ভালো ফল করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস বা এম কে স্ট্যালিনের ডিএমকে-র মতো বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলি ৷ সেই জায়গা থেকেই একটা দাবি বারবার উঠছে, একের বিরুদ্ধে একপ্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে যেখানে যে শক্তিশালী, সেই দলকে সেখানে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক ৷ আর বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যেরা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করুক । এক্ষেত্রে ভোট কাটাকাটির বিষয়টা অনেকটাই কমে যাবে ৷ আর বিজেপিকেও পরাস্ত করা যাবে ।