নয়াদিল্লি, 18 ডিসেম্বর:লোকসভায় বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী-সহ আরও কয়েকজন সাংসদকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মোট 31 জন লোকসভা সাংসদকে আজ সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শীতকালিন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য অধীর চৌধুরী-সহ অন্য়ান্য বিরোধী দলের সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ অশোভন আচরণ এবং ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য লোকসভার স্পিকার বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করেছে বলে জানা গিয়েছে ৷
লোকসভা থেকে তার সাসপেন্ডের বিষয়ে লোকসভা বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "আমি-সহ সমস্ত নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমরা কয়েকদিন ধরে আমাদের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়ে এসেছি ৷ একই সঙ্গে, আমরা বার বার বলেছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে আসুন, এবং হামলার বিষয়ে বিবৃতি দিন। তিনি প্রতিদিন টিভিতে বিবৃতি দিচ্ছেন, অথচ সংসদের নিরাপত্তার জন্য সরকার যা করছে তা নিয়ে সংসদে তিনি একটি কথাও বলতে পারছেন না ৷ আমরা বলেছিলাম, লোকসভায় উপনেতা রাজনাথ সিং এসেও বিবৃতি দিতে পারেন ৷ আমরা সেই আলোচনাই চেয়েছিলাম ৷"
অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদ আব্দুল খালিক বলেন, "নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার বিষয়ে আমরা সরকারের কাছে উত্তর চেয়েছিলাম। আমরা শুধু জিজ্ঞাসা করেছিলাম কখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সদনে আসবেন এবং এই বিষয়ের উপর বিবৃতি দেবেন ৷ এই প্রশ্নগুলি করার জন্য আমাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।" তাঁর দাবি, "বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা এবং রমেশ বিধুরির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এটি আসলে গণতন্ত্রের হত্যা। আমরা আমাদের আওয়াজ তুলতে থাকব ৷" প্রসঙ্গত, এর আগে 14 ডিসেম্বর মোট 13 জন বিরোধী দলের সাংসদকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ৷ এই নিয়ে মোট 47 সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এই অধিবেশনে ৷ এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায়, শতাব্দী রায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্য়ায়, প্রতীমা মণ্ডল, সুনীল মণ্ডল, অসিত মাল, ডিএমকে সাংসদ ডি আর বালু, এ রাজা, এবং কংগ্রেসের গৌরব গগৈয়ের মতো সাংসদরা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷
লোকসভা থেকে একাধিক বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, "বিরোধীরা লোকসভায় অশোভন আচরণ করেছেন। বিরোধীরা নিরাপত্তাহীন বোধ করছে কারণ তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাজেন্ডা বা ইস্যু নেই ৷ হাউসের কাজ চালাতো দিচ্ছেন না তাঁরা। তাই স্পিকার তাদের সাসপেন্ড করেছেন এবং আমরা স্পিকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছি।"