চন্ডিগড়, 23 এপ্রিল: কয়েকমাসের চেষ্টায় অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন খালিস্তানি নেতা তথা ওয়ারিশ পঞ্জাবের প্রধান অমৃতপাল সিং ৷ পঞ্জাবেই আত্মগোপন করেছিলেন তিনি ৷ মোগার রদ গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ কিন্তু, কীভাবে তাঁর এই উত্থান ? জানা গিয়েছে, জন্ম সূত্রে তহসিলের জাল্লালপুর খেরার বাসিন্দা অমৃতপাল সিং ৷ কাপুরথালার একটি পলিটেকনিক কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন তিনি ৷ পরে অমৃতপাল পারিবারিক পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন ৷ সেই কারণে দুবাই চলে গিয়েছিলেন ৷ পরবর্তী সময়ে শিখ ভাবাদর্শের প্রচারে সোশাল মিডিয়ায় ভীষণভাবে সক্রিয় ছিলেন অমৃতপাল সিং ৷
উল্লেখ্য, প্রয়াত অভিনেতা দীপ সিধুর সংগঠন ওয়ারিশ পঞ্জাব দে-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অমৃতপাল ৷ পরবর্তী সময়ে অমৃতপাল দাবি করেছিলেন দীপ সিধু সেই সংগঠনের দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন ৷ যার পরে এক দুর্ঘটনায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় দীপ সিধুর ৷ তারপর থেকেই শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ তথা যুবসমাজের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে অমৃতপালের ৷ মাদক সেবন-সহ পঞ্জাবের নানান সমস্যার বিরুদ্ধে প্রচার কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন ৷ এমনকী নিজেকে শিখ ধর্মগুরু হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি ৷ শিখদের সমস্যার সমাধানের জন্য পৃথক খালিস্তানের দাবিতে প্রচারও শুরু করেন ৷
নানা ফতোয়া জারি করতে থাকেন অমৃতপাল সিং ৷ তাঁর এই আচরণ ভালোভাবে নেইনি পঞ্জাব সরকার ৷ পরবর্তী সময়ে অভিযোগ ওঠে পঞ্জাবের একটি গুরুদ্বারে তাঁর সংগঠনের লোকজন ভাঙচুর চালায় ৷ প্রকাশ্যে ধারাল অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অমৃতপাল সিং এবং তাঁর লোকজন চলাফেরা শুরু করে ৷ এর পরেই পঞ্জাব পুলিশ তাঁর উপর রাশ টানার কথা ঘোষণা করে ৷ জলন্ধরে একটি সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তাঁকে ধরার চেষ্টা করে পুলিশ ৷ কিন্তু, পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান খালিস্তানি এই নেতা ৷