বিশাখাপত্তনম, 29 এপ্রিল: বিশাখাপত্তনমের বেসরকারি শ্রীথিরুমালা হাসপাতালে কিডনি পাচারের অভিযোগ ৷ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা গরিবদের কিডনি অস্ত্রোপচারের নাম করে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে ৷ এর পিছনে বড় চক্র কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ গত বুধবার এমনি একটি অভিযোগে প্রকাশ্যে এসেছে । মধুরাওয়াড়ার ভাম্বে কলোনির বাসিন্দা পেশায় ট্যাক্সি চালক জি বিনয় কুমার (32) অভিযোগ করেছেন, তাঁর আর্থিক সমস্যার কথা জানতে পেরে দুই ব্যক্তি মোটা টাকার বিনিময়ে কিডনি বিক্রি করাতে রাজি করায় ৷
এই ঘটনায় বিশাখাপত্তনমের পিএম পালেম পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে বিনয় কুমারের সঙ্গে দুই ব্যক্তির পরিচয় হয় ৷ তাঁরা কামারাজু নামে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মীর সঙ্গে বিনয়কে যোগাযোগ করতে বলেন ৷ কামারাজু তাঁকে সাড়ে 8 লক্ষ টাকার বিনিময়ে একটি কিডনি বিক্রির কথা বলে ৷ আর্থিক সমস্যায় জেরবার বিনয় সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান ৷ কিন্তু, বিনয়ের বাবা-মা বিষয়টি জানতে পারেন ৷ তাঁরা ছেলেকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ৷
অন্যদিকে, নির্ধারিত দিনে বিনয় হাসপাতালে উপস্থিত না হওয়ায় কামারাজু তাঁকে ফোন করে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ ৷ এমনকি তাঁর বাবা-মা কেও ফোনে ভয় দেখানো হয় ৷ চাপে পড়ে বিনয় শ্রীথিরুমালা হাসপাতালে যান এবং সেখান তাঁর কিডনি বের করে নেওয়া হয় ৷ কিন্তু, অস্ত্রোপচারের পর বিনয়কে মাত্র আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়া হয় ৷ তিনি প্রতারিত হয়েছেন, বুঝতে পেরে বিনয় কুমার পিএম পালেম পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করান ৷
আরও পড়ুন:রোগীর অজান্তে অস্ত্রোপচারে গায়েব কিডনি, যোগীরাজ্যের হোমগার্ডের অভিযোগে হইচই
বিনয় কুমারের অভিযোগ পেয়ে পুলিশের তরফে পুরো বিষয়টিকে সবদিক থেকে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷ এ নিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত কামারাজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, যে বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর কিডনি বের করা হয়েছে ৷ সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, গত 14 এপ্রিল এনটিআর জেলার কোন্ডাপাল্লি শহর থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কিডনি পাচার চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ৷ যে ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল ৷ আর তার 15 দিনের মাথায় এই ঘটনা সামনে এল ৷