বেঙ্গালুরু, 26 এপ্রিল:কর্ণাটক বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে কংগ্রেস ৷ লোকসভা ভোটের আগে কর্ণাটকের নির্বাচন কার্যত সেমিফাইনাল ম্যাচ কংগ্রেসের কাছে ৷ আর সেকারণে কর্ণাটককেই এখন গড় তৈরি করে লড়াই করতে চাইছে কংগ্রেস ৷ দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধি এবং এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি-সহ কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতারা 10 মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের উপর সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করেছেন ৷ দলীয় সূত্রে খবর, সে রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে কর্মসংস্থান, সামাজিক উন্নয়নের মতো বিষয়গুলিকে তুলে ধরে পরিণত সরকার গঠনের ডাক দেওয়া হবে কংগ্রেসের তরফে।
কর্ণাটক ভোটের আগেই সাংসদ পদ খুঁইয়েছেন রাহুল গান্ধি ৷ এরপরই দক্ষিণ ভারতে নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্র হিসাবে কেরলের ওয়ানাডকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি ৷ এরপর থেকে কংগ্রেসের তিন কেন্দ্রীয় নেতাই পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ক্রমাগত দক্ষিণের রাজ্য জুড়ে একের পর এক সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন। খাড়গে বুধবার চিক্কোডি এবং হুবলি এলাকায় প্রচার করেন ৷ অন্যদিকে, পর পর দু'দিন 23 এবং 24 এপ্রিল বিজাপুর এবং হাঙ্গালে সমাবেশের পরই মঙ্গলবার দক্ষিণ কন্নড়ে জনসভা করেন রাহুলও।
খাড়গে এবং রাহুলের পাশাপাশি পিছিয়ে নেই প্রিয়াঙ্কাও ৷ শ্রিংগেরিতে জনসভার পর বুধবার হিরিউরে রোড শো করেন তিনি। মঙ্গলবার হনুরে এবং কেআর নগরেও রোড শো করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। অন্যদিকে কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী 27 এপ্রিল থেকে 1 মে ফের রাজ্যে টানা কর্মসূচি রয়েছে রাহুলের। সেই সঙ্গে, কংগ্রেসের দাবি, আগামিদিনে যতটা সম্ভব রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা কার্যত চষে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে তিন কংগ্রেস নেতাই ৷ যার কারণ হিসাবে রাজ্য নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা যেভাবে আদা-জল খেয়ে এখানে প্রচার চালাচ্ছেন, তাঁদের মোকাবিলা করতেই কংগ্রেসের এই তিন নেতারই এখন ধ্যান-জ্ঞান এ রাজ্য। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বিকে হরিপ্রসাদ ইটিভি ভারতকে বলেন, "আমরা হিমাচল প্রদেশের মতোই একটি ইতিবাচক প্রচার কর্মসূচি নিয়েছি। জনগণকে প্রভাবিত করে এমন বাস্তব বিষয়গুলিতেই মূলত দল নজর দিচ্ছে দল। এখানে জনগণকে বোঝানোর জন্য, আমরা হিমাচল, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে আমাদের সরকারের উন্নয়নের কাজগুলিকে তুলে ধরছি।"