বেঙ্গালুরু, 6 ফেব্রুয়ারি:বিমানবন্দরের অন্দরে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হল ৷ ধৃত মহিলা কেরালার বাসিন্দা (Kerala Woman Arrested) ৷ তাঁর বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর (False Bomb Threat in Bengaluru International Airport) অভিযোগ উঠেছে ৷ ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত মহিলা ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ৷ আসলে ওই দিন বিমানে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল তাঁর ৷ কিন্তু, তিনি সেই বিমানটি ধরতে পারেননি ৷ সেই কারণেই ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ান ওই মহিলা !
ধৃত মহিলার বয়স 31 বছর ৷ তিনি কেরালার কোঝিকোড়ের বাসিন্দা ৷ তাঁর বিরুদ্ধে গত শুক্রবারই বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ সেই অভিযোগটি করেন সন্দীপ সিং নামে একজন সিআইএসএফ আধিকারিক ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে ৷
আরও পড়ুন:দিনকয়েকের ব্যবধানে মস্কো-গোয়া বিমানে ফের বোমাতঙ্ক! ঘোরানো হল উজবেকিস্তানে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন, অর্থাৎ গত শুক্রবার সন্দীপ সিংয়ের 'মর্নিং ডিউটি' ছিল ৷ তিনি বিমানবন্দরের 6 নম্বর বোর্ডিং গেটে মোতায়েন ছিলেন ৷ সন্দীপ জানিয়েছেন, সকাল 8টা 20 মিনিট নাগাদ এক মহিলা দৌড়ে তাঁর কাছে আসেন ৷ তিনি সন্দীপকে বলেন, তাঁকে তৎক্ষণাৎ কলকাতাগামী ইন্ডিগোর বিমানে চড়তে হবে ৷ মহিলা জানান, তাঁর ওই বিমানে ওঠা অত্যন্ত জরুরি ৷ যদি তাঁকে বিমানে উঠতে না-দেওয়া হয়, তাহলে তিনি বিমানবন্দর বোমা মেরে উড়িয়ে দেবেন !
মহিলার কথা শুনে সন্দীপ সিং তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন ৷ তাতে ওই মহিলা আরও ক্ষেপে যান ৷ তিনি বলেন, সন্দীপ তাঁর শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করছেন ! এমনকী, ওই মহিলা সন্দীপ সিংয়ের কলার খামচে ধরে তাঁকে হুমকি দিতে শুরু করেন ! এরপর ওই মহিলা 6 নম্বর বোর্ডিং গেটের একেবারে কাছে ছুটে যান ৷ সেখান থেকে বিমানে সওয়ার যাত্রীদের উদ্দেশে চিৎকার করতে থাকেন তিনি ৷ মহিলা বলেন, বিমানে বোমা রয়েছে ! যাত্রীরা যদি প্রাণে বাঁচতে চান, তাহলে তাঁরা যেন দৌড়ে বিমান ছেড়ে পালিয়ে আসেন !
মহিলার কাণ্ডকারখানায় রীতিমতো হুলুস্থূল পড়ে যায় ৷ পরবর্তীতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 505, 323 এবং 353 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ আদালতে পেশ করা হলে সংশ্লিষ্ট বিচারক তাঁকে 11 দিনের জন্য (17 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন !