তিরুবনন্তপুরম, 3 মে : কেরালায় কোনও সাম্প্রদায়িকতা নয় ৷ বললেন পিনারাই বিজয়ন ৷ কেরালা বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এল পিনারাইয়ের এলডিএফ ৷
জয়ের পর একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানালেন, তাঁর বিরোধী দল কংগ্রেস নেতৃত্বে থাকা ইউডিএফ হলেও এবার বিজেপির নেতৃত্বে থাকা বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেবেন তিনি ৷
এবারে বিধানসভা ভোটে এলডিএফকে লড়তে হয়েছিল কংগ্রেসের ইউডিএফ আর বিজেপির এনডিএ-র বিরুদ্ধে ৷ তবে, 2016-র পর আরও 97টি বেশি আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরল এলডিএফ ৷ এটা একটা ঐতিহাসিক জয় ৷ আগে পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচনে কখনো এলডিএফ তো কখনো ইউডিএফ শাসনে ফিরেছে ৷ সেই প্রথা ভেঙে দ্বিতীয়বারও রইল এলডিএফ ৷ আর এনডিএ রাজ্যের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ দল হয়েও তাদের একমাত্র নিমম আসনটি খুইয়েছে এলডিএফ-র কাছে ৷
রাজ্যের কন্নুরের ধর্মাদম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিশাল ভোটে জয়ী হয়েছেন বিজয়ন ৷ জয়ের পর সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে এনডিএ-কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "কেরালায় বিজেপির জন্য নয় ৷ কেরালা সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মীয় বিভাজন মেনে নেবে না ৷ গত বার বিজেপি জিতেছিল ইউডিএফ-এর কংগ্রেসের কারণে ৷ আমরা বলেছিলাম কেরালায় বিজেপি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেব ৷"
নিমম-এ এনডিএ জোট বিজেপির সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা কুম্মানাম রাজশেখরনকে প্রার্থী করেছিল ৷ তিনি মিজোরামের প্রাক্তন রাজ্যপাল ৷ এ ছাড়া মেট্রো ম্যান ই শ্রীধরনকে প্রার্থী করেও মানুষের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়েছিল বিজেপি ৷
এমনকি বাদ যাননি কেরালায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির প্রচার ৷ রাহুলকে কেরালা ছেড়ে অন্য রাজ্যে যেতে বলে এক হাত নিলেন তিনি ৷ রাহুলকে তাঁর পরামর্শ "রাহুল গান্ধী একজন জাতীয় স্তরের নেতা, কিন্তু মানুষ তাঁকে বাম অধ্যুষিত কেরালার মধ্যে দেখতে চান না ৷ এই রাজ্যকে নিশানা না করে ভারতে আরো অনেক বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য আছে, তিনি সেখানে যান, প্রচার করুন ৷"