মাইসুরু (কর্ণাটক), 13 মে: কর্ণাটকই পথ দেখাবে ভারতকে ৷ শনিবার কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে যে জয় কংগ্রেস পেল, তা 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ের প্রথম ধাপ ৷ এমনটাই মনে করেন দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া ৷ একই সঙ্গে তাঁর আশা রাহুল গান্ধিই দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন ৷
তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি এই ভোট খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল । এই নির্বাচনের ফলাফল 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের জন্য প্রথম সোপান ৷ আমিও আশা করি রাহুল গান্ধি এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন ৷’’
2013 থেকে 2018 সাল পর্যন্ত কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সিদ্দারামাইয়া ৷ ওই রাজ্য়ের বিদায়ী বিধানসভায় তিনি ছিলেন বিরোধী দলনেতা ৷ সিদ্দারামাইয়ে কর্ণাটকের বরুণা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েছিলেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন বিজেপির ভি সোমান্না ৷ তিনি আবার ওই বিদায়ী সরকারে মন্ত্রীও ছিলেন ৷ ফলে সিদ্দারামাইয়ার এবারের জয় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ তাই কংগ্রেস ওই রাজ্যে জিতে যাওয়ায় তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্বের অন্যতম দাবিদার ৷
তাঁর দাবি, কর্ণাটকে শুধু বিজেপির হার হয়নি ৷ বরং জনতার এই রায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার বিরুদ্ধে জনতার রায় ৷’’ এই পরিস্থিতিতে তাই অন্য বিজেপি বিরোধী দলগুলিও কংগ্রেসের হাত ধরবে বলে আশা করছেন তিনি ৷
একই সঙ্গে তিনি জানান, কর্ণাটকের মানুষ সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে ৷ কারণ, ওই রাজনীতি ধর্মনিরেপক্ষ মানুষের জন্য ভয়ঙ্কর ছিল ৷ তিনি বলেন, ‘‘কর্ণাটকের মানুষ রাজনৈতিকভাবে অনেক পরিণত । তাঁরা জানেন কোন দল রাজ্যকে বাঁচাবে ৷ কারণ, রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোতে বিজেপি ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল ৷’’ তবে ভোটে জিততে বিজেপি অর্থবল ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন সিদ্দারামাইয়া ৷ তার পরও বিজেপির সাফল্য এল না বলে তাঁর দাবি ৷
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন হয় গত 10 মে ৷ শনিবার ফল প্রকাশিত হল৷ ওই রাজ্য়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস ৷ সেই সরকারের প্রধান কি হবেন সিদ্দারামাইয়া, আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল ৷
আরও পড়ুন:সোনিয়াকে কর্ণাটকের জয় উপহার দিতে পারায় শিবকুমারের চোখে জল