নয়াদিল্লি, 26 জুলাই:আজ কার্গিল বিজয় দিবস ৷ 1999 সালের এই দিনটিতে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে জয়ী হয় ভারতীয় সেনাবাহিনী ৷ 60 দিন ধরে চলা এই যুদ্ধ হয় লাদাখের কার্গিলে ৷ বহু সেনার রক্তের বদলে জয় পেয়েছিল ভারত ৷ প্রতি বছর এই দিনটিতে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় ৷
ভারত-পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থিত কার্গিল জম্মু-কাশ্মীরের একটি অংশ ৷ এই জেলাটি নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের গোলমাল অনেক দিনের ৷ সংঘাতের সূত্রপাত সিয়াচেন হিমবাহকে ঘিরে ৷ 1984 সালের এপ্রিল মাসে ভারত 'অপারেশন মেঘদূত'-এর মাধ্যমে সিয়াচেনের দখল নেয় ৷ এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্র ৷ এদিকে এই অংশটি পাকিস্তান ও চিনের জন্য ভূরাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ৷ এর মধ্যে কার্গিল একটি সূক্ষ্ম পথ, যেখান দিয়ে সহজেই পাকিস্তান থেকে বেআইনি পথে জঙ্গিরা দেশে ঢুকতে পারে এবং হামলা চালাতে পারে ৷ তাই কার্গিল নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল প্রশাসন ৷
আরও পড়ুন: কার্গিলে শহিদদের স্মরণে সেনার ভিডিয়ো, 3 ঘণ্টায় ভিউ 2.5 লাখের বেশি
প্রাক যুদ্ধ পরিস্থিতি, 3 মে:ভারতের এই চিন্তাকেই সত্যি প্রমাণ করে পাকিস্তান ৷ সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারাফের মদতে কিছু দিন আগেই আন্তর্জাতিক সীমানা পার করে পাকিস্তানের সেনা । 1999 সালের 3 মে কার্গিলের স্থানীয় কিছু মেষপালক ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সতর্ক করে ৷ তাঁরা জানান, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিরা এলাকার দখল নিয়েছে ৷ 5 মে ভারতীয় সেনাবাহিনী এলাকায় জওয়ানদের পাঠায় ৷ 5 আধিকারিক পাকিস্তানের সেনার হাতে বন্দি হন ৷ পরে তাঁদের হত্যা করা হয় ৷
এইদিনই অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল পাক সেনাবাহিনী ৷ তারা কার্গিলে অবস্থিত ভারতের অস্ত্রাগার ধ্বংস করে দেয় ৷ এই ঘটনার পর স্বভাবতই নড়েচড়ে বসে ভারত সরকার ৷ সে সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ৷ কার্গিলে আরও সেনাবাহিনী পাঠানো হয় ৷ কাশ্মীরে বিশাল সংখ্যক জওয়ান মোতায়েন করা হয় ৷ ততদিনে পাকিস্তানি সেনা দখল নিয়েছে কার্গিলের ৷
শুরু অপারেশন বিজয়, 26 মে:ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে 'অপারেশন বিজয়'-এর সূচনা করে ৷ ভারতীয় বায়ুসেনা 26 মে 'অপারেশন সফেদ সাগর' শুরু করে ৷ আকাশপথে পাকিস্তানের দখল করে রাখা জায়গাগুলিতে আক্রমণ চালায় ৷ আইএএফের মিগ-21, মিগ-27, মিগ-17 পাকিস্তানের বাহিনীকে আক্রমণ করে ৷