হায়দরাবাদ, 4 অগস্ট: 'সে যে মানে না মানা..' লোহার কাঁটাতারও আটকাতে পারে না ভালোবাসাকে ৷ দুটি মানুষের মনের মিলন যে দু-প্রান্তে থেকেও সম্ভব, তাই প্রমাণ করে দেখালেন আরবাজ ও আমিনা ৷ রাজস্থানের আরবাজ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বিয়ে করলেন পাকিস্তানের বাসিন্দা আমিনাকে ৷
দেশের বেড়াজাল টপকে ভালোবাসার টান কেমন হয়, তা দেখিয়েছেন সীমা হায়দার ও অঞ্জু ৷ একজন মনের মানুষের জন্য পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন, অপরজন ভারত থেকে পাকিস্তানে গিয়েছেন ৷ তবে আরবাজ ও আমিনার ঘটনা সামনে আসতে নেটিজেনরা মুগ্ধ ৷ রাজস্থানের যোধপুরের বাসিন্দা, পেশায় ভিডিয়ো এডিটর মহম্মদ আরবাজ অনলাইন বিয়ে সেরেছেন পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা আমিনাকে ৷ বুধবার রাতে ভার্চুয়ালি বিয়ের সাক্ষী ছিলেন তাঁদের পরিবার ও বন্ধুরা ৷
শুধু তাই নয়, বিয়ের আয়োজনে রাখা হয়নি কোনও রকম খামতি ৷ সকলেই সুন্দর সেজেগুজে উপস্থিত হয়েছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৷ বর-কনের বিয়ে দিতে উপস্থিত ছিলেন কাজিও ৷ তিনি অনলাইনেই বর-বধূকে সাক্ষী রেখেন পড়েন 'নিকহানামা' ৷ এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বরের বাবা মহম্মদ আফজল বলেন, "আমাদের আত্মীয় রয়েছেন পাকিস্তানে ৷ তাঁরাই এই বিয়েটা ঠিক করেছেন ৷ এমনকী, আমার বড় ছেলের বৌ-ও পাকিস্তানের ৷ ছোটছেলের বিয়েটা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ ৷ আমাদের নতুন পুত্রবধূ এবার ভারতের আসার জন্য ভিসার অ্যাপ্লাই করতে পারেন ৷ কারণ এবার তাঁর কাছে বিয়ের সার্টিফিকেট থাকছে অর্থাৎ নিকাহনামা ৷"
তিনি আরও বলেন, "আসলে আমরা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বিয়েটা সেরেছি, কারণ পাকিস্তানি বিয়ে ভারতে বৈধ নয় ৷ এখন আমিনা অনায়াসে ভারতে ভিসা নিয়ে আসতে পারবে ৷ আমরা এই অনলাইন বিয়েতে খুশি ৷ পাশাপাশি, এই রকম ভাবে বিয়ে হওয়ার ফলে, আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারে বিয়ের খরচ অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে ৷ এই ধরণের বিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের বন্ধুত্বের সম্পর্কের অন্যতম উদাহরণ ৷"