ভিলাই (ছত্তিশগড়), 25 নভেম্বর:বাবা-মায়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে আত্মহত্যা আইটিআই পডুয়ার ৷ শুক্রবার ছত্তিশগড়ের ভিলাইয়ে অত্যন্ত মর্মান্তিক এই দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে ৷ মৃত ওই ছাত্রের নাম নিখিল বার্মা (19) ৷ ভিলাইয়ের রুংটা কলেজের প্রথম বর্ষের আইটিআই পড়ুয়া সে ৷ দু‘দিন আগে বাড়ি থেকে হোস্টেলে ফিরে গিয়েছে সে ৷ তারপরই হস্টেলে আত্মঘাতী হয় ওই পড়ুয়া ৷ এটি সুইসাইড নোটও লেখে ৷ সেখানে বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চায় ৷ কী কারণে ওই পড়ুয়া এমন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিস সূত্রে খবর, লিটিয়া চৌকি এলাকার দোদকি গ্রামের বাসিন্দা নিখিল ভার্মা ৷ তিনি ভিলাইয়ের রুংটা কলেজের প্রথম বর্ষের আইটিআই ছাত্র ছিলেন । পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী হোস্টেলের অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল ৷ সম্প্রতি দীপাবলির ছুটি কাটিয়ে হস্টেলে ফিরে গিয়েছিল ওই পড়ুয়া ৷ সেখানে দিন-দুই থাকার পর তার বোনের শ্বশুর বাড়িতে ঘুরতে যায় ৷ তারপর সেখান থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার সন্ধে বেলায় ফিরে আসে ৷ এরপরেই হস্টেলের ঘরে ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান অন্যান্য পড়ুয়ারা ৷ তাঁরাই হস্টেল সুপারকে খবর দেয় ৷ পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় ৷ পাশাপাশি আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত শুরু করে ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে নিখিলের বাবা সন্তোষ বর্মা বলেন, "নিখিল খুব একটা মিশুকে ছিল না। সকলের সঙ্গে কথাও বলত না ৷ দীপাবলির ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল ৷ নতুন জামাকাপড় কেনার জন্য মায়ের থেকে টাকাও নেয় ৷ সেই সময়ে ওর আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখতে পাইনি ৷ বাড়িতে কারও সঙ্গে কিছু ঘটেনি ৷ ছুটি কাটিয়ে 18 নভেম্বর হস্টেলে ফিরে গিয়েছিল ৷"
পুলিশ আধিকারিক জামুল কেশব কোশলে জানান, দেহটি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ তবে ওই পড়ুয়ার কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে ৷ সেখানে লেখা আছে, "দুঃখিত, মা এবং বাবা। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন। আপনারা আমার জন্য কষ্ট পাচ্ছেন।"