বেঙ্গালুরু, 7 অক্টোবর: আর জাগবে না বিক্রম, ঘুম ভাঙবে না রোভার প্রজ্ঞানেরও ৷ শুক্রবার এমনটাই জানালেন দেশের এক বিশিষ্ট মহাকাশ বিজ্ঞানী ৷ হয়তো এভাবেই ভারতের মিশন চন্দ্রযান-3 শেষ হয়ে যাবে, মনে করছেন বিজ্ঞানী এ এস কিরণ কুমার ৷ তিনি স্পেস কমিশনের সদস্য এবং প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যানও ৷ এই মিশনের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন ৷
22 সেপ্টেম্বর ইসরোর তরফে জানানো হয়, চাঁদে নতুন দিন শুরু হয়েছে ৷ এরপর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের সঙ্গে যোগাযাগ করার চেষ্টা চলছে ৷ এই দু'টি যন্ত্রই সূর্যশক্তিতে চালিত হয় ৷ তারা কী অবস্থায় আছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ এখনও পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনও সিগন্যাল পাওয়া যায়নি ৷ তবে যোগাযাগের চেষ্টা জারি রয়েছে ৷
বিক্রম এবং প্রজ্ঞান- দু'টি যন্ত্রকেই বিজ্ঞানীরা এমন ভাবে তৈরি করেছেন, যাতে চাঁদের মাটিতে একটি দিন তারা কাজ করতে পারে ৷ চাঁদে একদিন, পৃথিবীর মাটিতে 14টি দিনের সমান ৷ ইসরোর আধিকারিকরা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চন্দ্রযান-3 মিশনের তিনটি লক্ষ্য ছিল ৷ চাঁদের মাটিতে কোনও ঝাঁকুনি ছাড়া সফল অবতরণ ৷ চাঁদের মাটিতে রোভার প্রজ্ঞানের ঘুরে বেড়ানো ৷ চাঁদের মাটিতে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ৷
23 অগস্ট ভারতীয় সময় সন্ধ্যা 6টা নাগাদ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে সফ্টল্যান্ডিং করে চন্দ্রযান-3 ৷ দক্ষিণ মেরুতে চাঁদের এই অবতরণে বিশ্বে প্রথম ভারত ৷ তাই সেদিন ইতিহাস গড়েছে ভারত ৷ এর আগে আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চিন এই সাফল্য অর্জন করেছে ৷