কলকাতা, 23 অক্টোবর :বাংলাদেশের কুমিল্লায় হিংসার প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন ইসকনের (ISKCON) ভক্তরা ৷ শনিবার কলকাতা-সহ দেশের নানা প্রান্তে এই ইস্যুকে সামনে রেখে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা ৷ উল্লেখ্য, কুমিল্লার ঘটনায় দুষ্কৃতীদের হামলায় একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয় ৷ এদিন তার প্রতিবাদে কলকাতার রাস্তায় কীর্তন গাইতে দেখা যায় ইসকনের সদস্য ও ভক্তদের ৷ নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় এবং আক্রান্ত সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিতে রাজপথে মোমবাতিও জ্বালান তাঁরা ৷
আরও পড়ুন :Sheikh Hasina: বাংলাদেশে হিংসা রুখতে কড়া পদক্ষেপ হাসিনার
সংস্থার সহ-সভাপতি রাধারমন দাস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘গত 10 দিন ধরে বাংলাদেশে যে হিংসা চলছে, তা নির্মম ৷ বহু মানুষকে খুন করা হয়েছে ৷ শিশুদের ধর্ষণ করা হয়েছে ৷ আর কতদিন আমরা এভাবে মৃত্যুবরণ করব ? সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা প্রত্যেকটি সরকারের দায়িত্ব ৷ ওখানে প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটছে না ৷ এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে ৷ প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে এবং নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় আমরা কীর্তনের আয়োজন করেছি ৷ যে কোনও মানুষ এখানে এসে মোমবাতি জ্বালাতে পারেন, ফুল দিতে পারেন ৷’’
এদিন কলকাতার পাশাপাশি ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে ইসকন কর্তৃপক্ষ ৷ গুজরাতের আহমেদাবাদেও এভাবেই কুমিল্লার ঘটনার প্রতিবাদ জানান সংস্থার সদস্যরা ৷ এই আয়োজনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস-সহ অন্যান্য সংগঠনও অংশগ্রহণ করে ৷ আহমেদাবাদ ইসকনের সভাপতি কালানাথ চৈতন্যদাস বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর যেভাবে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে, তাতে আমরা সকলেই হতবাক ও ব্যথিত ৷ ওঁদের (বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের) নিজেদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকা উচিত ৷ যা ঘটেছে, তা একেবারেই ঠিক হয়নি ৷ যদি এমন ঘটনা বারবার ঘটে, তাহলে আমরা আমাদের ধর্ম পালনের জন্য কোথায় যাব ? বাংলাদেশের সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, তারা যেন এই হিংসার অবসান ঘটায় এবং সংখ্যালঘু-সহ বাংলাদেশের সমস্ত নাগরিক এবং মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ৷ ভারত সরকারও যাতে গোটা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে, আমরা সেই আবেদনও জানাচ্ছি ৷’’ একই আবেদন জানিয়েছেন ইসকনের জাতীয় যোগাযোগ বিভাগের নির্দেশক ব্রজেন্দ্রনন্দন দাসও ৷
আরও পড়ুন :Bangladesh Violence : বাংলাদেশে পুজোমণ্ডপে হামলার নিন্দায় সরব বিপ্লব দেব
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার সূত্রপাত হয় গত 13 অক্টোবর ৷ দুর্গাপুজো চলাকালীন কুমিল্লার একটি পুজোমণ্ডপে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা ৷ এরপর একের পর এক মণ্ডপে একই ঘটনা ঘটে ৷ বেছে বেছে নিশানা করা হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ৷ ধর্ম, সম্প্রদায় নির্বিশেষে স্থানীয় বাসিন্দারা রুখে দাঁড়ালেও দুষ্কৃতী হামলায় প্রাণ যায় বেশ কয়েকজন আক্রান্তের ৷ বাংলাদেশের ইসকন মন্দিরেও আক্রমণ করে হামলাকারীরা ৷ এরই প্রতিবাদে গোটা পৃথিবীতে 150 টি দেশের প্রায় 700 মন্দিরে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ৷