ওয়ারাঙ্গল (তেলঙ্গানা), 7 এপ্রিল: বিধানসভা নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই ৷ সময় যত এগোচ্ছে, ততই রাজনীতির ময়দানে কোমর কষছে বিজেপি ৷ তেলঙ্গানায় সরকার গঠনের অধরা স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চায় তারা ৷ ঠিক এই পরিস্থিতিতে আচমকাই ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিআরএস নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও-এর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মেজাজে অবতীর্ণ হয়েছেন বান্ডি সঞ্জয় ৷ তেলঙ্গানার বিজেপি সভাপতিকে এতদিন লো-প্রোফাইল রাজনীতিক বলেই সকলে চিনতেন ৷ কিন্তু আচমকা তাঁর রূপ পরিবর্তন বদলে দিয়েছে ওই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ৷ যা নতুন আশার আলো দেখিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে ৷ তাদের আশা সঞ্জয়ের রণংদেহি মেজাজে ভর করেই এবার তেলঙ্গানা দখলের স্বপ্ন সফল হবে বিজেপির ৷
এবারও হবে তো ! প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে ৷ কারণ, তেলঙ্গানায় বিজেপির সংগঠন বিস্তার ও নির্বাচনী ময়দানে মানুষের মন জয়ের প্রভূত সম্ভাবনা থাকলেও, তা এখনও সম্ভব হয়নি ৷ অথচ এখানে বিজেপির রাজনৈতিক পথে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয় ৷ আগামী সাত মাসের মধ্যে সেই মানুষগুলির মন জয়ই এখন গেরুয়া শিবিরের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ৷
এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল, শনিবার তেলঙ্গানায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ 11 হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা করবেন তিনি ৷ সেকেন্দ্রাবাদ ও তিরুপতির মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন ৷ এটি ওই রাজ্য়ের দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হতে চলেছে ৷ কেন্দ্রীয় প্রকল্প ও তাঁর সরকারের কাজের কথা বলে স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী মোদি বিজেপির হয়ে তেলঙ্গানাবাসীর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করবেন ৷ কিন্তু মোদির সফরের ঠিক আগে বান্ডি সঞ্জয়ের গ্রেফতারি ওই রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন মোড় তৈরি করেছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের ৷
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে তেলঙ্গানার করিমনগর থেকে প্রচুর পুলিশ নিয়ে গিয়ে আটক করা হয় বান্ডি সঞ্জয়কে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দি ভাষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তোলা হয় ৷ ওই রাজ্যের সরকারকে বদনাম করতেই তিনি এই কাজ করেন বলে অভিযোগ ৷ গ্রেফতারির পর তাঁর ঠাঁই হয় করিমনগর জেলে ৷