নুহ, 14 অগস্ট: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে হরিয়ানার নুহ ৷ হিংসার আবহ থেকে বেরিয়ে আসছে জেলার মানুষজন ৷ আর তার প্রথম ধাপ হিসেবে নুহ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করল সরকার ৷ হিংসা বিধ্বস্ত নুহতে 13 দিন পর ইন্টারনেট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মনোহরলাল খট্টরের সরকার ৷ এমনকি নাগরিকদের জরুরি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া শুরু হয়েছে ৷ তবে, পুলিশি নজরদারি এখনও চলছে ৷ কোনও জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷
গত 31 জুলাই ব্রজ মন্ডল যাত্রাকে কেন্দ্র করে হরিয়ানার নুহতে সংঘর্ষ শুরু হয় ৷ একাধিক হিংসাত্মক ঘটনায় গাড়ি, দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ এমনকি বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় ৷ যে ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করে হরিয়ানা সরকার ৷ 144 ধারা লাগু করা হয় ৷ লোকজনের জমায়েত দূর, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজনের বাড়ি থেকে বেরনোয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রশাসন ৷
তবে, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ৷ আর তার প্রথম ধাপ হিসেবে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খট্টর প্রশাসন ৷ গত 31 জুলাইয়ের সেই হিংসার ঘটনায় অন্তত 6 জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল সরকার ৷ সেই সঙ্গে 60 জন আহত হয়েছিলেন ৷ সেই রেশ যাতে পাশের জেলাগুলিতে না পড়ে, তার জন্য সেখানকার কয়েকটি অঞ্চলে 144 ধারা জারি করেছিল খট্টর প্রশাসন ৷ ইন্টারনেট পরিষেবার চালু করা হলেও, সোশাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নজরদারি চালাবে সরকার ৷ হিংসা ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমন কোনও লেখা, ছবি বা ভিডিয়ো পোস্ট করলে তা সরিয়ে দেওয়া হবে ৷ সেই সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন:নুহের পরিস্থিতি আগাম আন্দাজ করতে পারেনি প্রশাসন, স্বীকারোক্তি উপ-মুখ্যমন্ত্রীর
ইতিমধ্যে, এই হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে 59টি এফআইআর দায়ের করেছে হরিয়ানা পুলিশ ৷ নুহ জেলায় এখনও পর্যন্ত হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে 227 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ স্কুল ও কলেজ এখনও বন্ধ রয়েছে ৷ এই ঘটনার পর রবিবার সেখানকার হিন্দু সংগঠন সব ধর্মের একটি মহাপঞ্চায়েত ডেকেছিল ৷ পালওয়াল জেলার পোন্ডারি গ্রামে সেই মহাপঞ্চায়েত বসে ৷ নুহর হিংসা নিয়ে সেখানে আলোচনা করেন তাঁরা ৷ আগামী 28 অগস্ট হিন্দু সংগঠনগুলি আরও একটি মিছিলের ডাক দিয়েছে ৷ নুহ-র হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে এই মিছিল করবে সংগঠনগুলি ৷