নয়াদিল্লি, 9 সেপ্টেম্বর: জি20 সামিটের জন্য নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে রাজধানী দিল্লি। পাশাপাশি ঢেলে সাজানো হয়েছে সাইবার নিরাপত্তার ব্যবস্থাও। চিন বা পাকিস্তানের হ্যাকাররা যাতে কোনওভাবেই তথ্য চুরি করতে না পারে তার জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। সম্মলেনস্থল থেকে শুরু করে তার আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় কড়া নজরদারি থাকছে।
নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে 'কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিম'-এর সদস্যদের উপর। প্রতিটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে কী ধরনের তথ্যের দেওয়া নেওয়া চলছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্মেলনস্থলের পাশপাশি বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের যে 28টি হোটেলে থাকতে দেওয়া হয়েছে সেখানেও চলছে নজরদারি। তথ্যের আদান প্রদান থেকে শুরু করে নানা ব্যাপারে চলছে বিশেষ নজরদারি।
আরও পড়ুন:জি20 নৈশভোজে মৃদঙ্গ বাজাবে 12 বছরের দক্ষ, ইটিভি ভারতের মুখোমুখি খুদে শিল্পী
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছিল ইটিভি ভারত। তিনি জানান,'জিরো ট্রাস্ট' মডেলকে সামনে রেখেই নজরদারির কাজ হচ্ছে। মানে নিরপত্তার ব্যাপারে একেবারেই ঢিলেঢালা মনোভাব দেখানো হচ্ছে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধানদের এবং তাঁদের সঙ্গে আসা প্রতিনিধিদের সবধরনের নিরাপত্তা দিতে চায় প্রশাসন। তিনি আরও জানান, 'কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিম' নিজেদের মতো কাজ করছে। পাশাপাশি, দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলের আধিকারিকদেরও বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মূলত ওই 28টি হোটেলের সাইবার নিরাপত্তা দেখার কাজ দেওয়া হয়েছে।
আধুনিক সময়ে কীভাবে হ্যাকিং চলে তা মাথায় রেখেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিজের বিরাট প্রতিনিধি দলকে নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থাকছেন আইটিসি মৌর্য হোটেলে। সেখানে একটি অস্থাযী কার্যালয় গড়ে তুলেছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। প্রায় একই ব্যবস্থা থাকছে তাজ হোটেল থেকে শুরু করে প্রাইড প্লাজা,দ্য ললিত, দ্য অশোক, হায়াত রিজেন্সি, জে ডব্লু ম্যারিয়টের মতো হোটেলেও।