নয়াদিল্লি, 28 জুন : কোভিশিল্ড (Covishield) নিয়েও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (EU) দেশগুলিতে ঢোকার ছাড়পত্র পাচ্ছেন না ভারতীয়রা ৷ তিনি যে এই ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং সমস্য়া মেটাতে বদ্ধপরিকর, সোমবার সেই বার্তাই দিয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (Serum Institute of India) সিইও আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) ৷ টুইটারে (Twitter) আদর জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চস্তরে আলোচনা শুরু করেছেন তিনি ৷
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নয়া ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ (vaccine passport) প্রকল্প চালু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৷ তাতে অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্য়ালয়ের (AstraZeneca-Oxford University) তৈরি টিকার ভারতীয় সংস্করণটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি ৷ তাই যেসব ভারতীরা কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাঁদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ৷
আরও পড়ুন :কোভিশিল্ডের সিঙ্গেল ডোজ কার্যকর ডেল্টা স্ট্রেনেও
সোমবার এই প্রসঙ্গ আদর তাঁর টুইটার হ্য়ান্ডেলে একটি পোস্ট করেন ৷ তিনি লেখেন, ‘‘আমি জানি যেসব ভারতীয়রা কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে যেতে গিয়ে সমস্য়ার মুখে পড়েছেন ৷ আমি সবাইকে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করছি ৷ আমি সর্বোচ্চস্তরে এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি ৷ আশা করছি, দ্রুত সমস্য়া মিটে যাবে ৷ যাঁরা বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন, তাঁদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা চলছে ৷’’
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে করোনার মাত্র চারটি টিকাকেই স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চিকিৎসা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ‘ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি’ (European Medicines Agency) ৷ তার মধ্যে অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার তৈরি ভ্য়াক্সজ়ার্ভরিয়াও (Vaxzervria) রয়েছে ৷ করোনার এই টিকাটি ইউরোপেই তৈরি হয়েছে ৷ এবং এটির বিক্রি আপাতত ইউরোপেই সীমাবদ্ধ ৷ অথচ, সেরামের তৈরি টিকাকে ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি ছাড়পত্র বা স্বীকৃতি দেয়নি ৷ আর তাতেই বেকায়দায় পড়েছেন ভারতীয়রা ৷
আরও পড়ুন :বিজ্ঞান মেনেই কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজের ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত, দাবি কেন্দ্রের
প্রসঙ্গত, করোনা আবহে যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির নাগরিকেরা মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ স্থির হয়েছে, ইইউ একটি ডিজিট্য়াল কোভিড শংসাপত্র (digital Covid certificate) চালু করবে ৷ যা কার্যকর করা হবে 1 জুলাই থেকে ৷ এই শংসাপত্র যাঁদের কাছে থাকবে, তাঁরা হয় করোনা আক্রান্ত নন, অথবা তাঁদের করোনার টিকা নেওয়া আছে, অথবা তাঁরা করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৷ এক কথায় এই শংসাপত্রই হবে তাঁদের করোনামুক্ত হওয়ার প্রমাণ ৷
বাইরে থেকে যাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনও দেশে ঢোকার চেষ্টা করবেন, তাঁদের সকলের কাছে এই শংসাপত্র থাকাটা বাধ্য়তামূলক ৷ অথচ, যেহেতু কোভিশিল্ডকে ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি করোনার টিকা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি, তাই ভারতীয়দের এই ডিজিট্য়াল কোভিড শংসাপত্র পেতে সমস্য়া হচ্ছে ৷ বিষয়টি সামনে আসতেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন আদর পুনাওয়ালা ৷