নয়াদিল্লি, 5 মার্চ:ভারতীয় নৌসেনার মুকুটে নয়া পালক ৷ রবিবার তারা জানিয়েছে, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছে তারা (Indian Navy successfully launched BrahMos Missile) ৷ এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা (Defence Research and Development Organisation) বা ডিআরডিও (DRDO) ৷
রবিবার এ নিয়ে একটি টুইট করে ভারতীয় নৌবাহিনী ৷ সেই টুইটে তারা জানিয়েছে, "ভারতীয় নৌসেনা যুদ্ধজাহাজ থেকে একেবারে সঠিকভাবে আরব সাগরে একটি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে ৷ আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে ডিআরডিওর সঙ্গে সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছে ৷"
প্রসঙ্গত, ব্রহ্মোস হল একটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ৷ যা মূলত যুদ্ধজাহাজ থেকেই উৎক্ষেপণ করা হয় ৷ এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবেগ শব্দের গতিবেগের থেকেও দ্রুত ৷ তবে, যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও ডুবোজাহাজ, বিমান এবং স্থলভাগ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষপণ করা সম্ভব ৷ যখন প্রথম এই ক্ষেপণাস্ত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল, সেই মুহূর্তে এটি ছিল বিশ্বের দ্রুততম সুপারসোনিক (শব্দের থেকেও বেশি দ্রুত গতিসম্পন্ন) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (যা মূলত জাহাজ থেকে ছোড়া হয়) ৷ প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসেই ওড়িশা উপকূল থেকে পৃথ্বী-2 ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল ভারত ৷
আরও পড়ুন:600 কিমি পর্যন্ত ছুটে গিয়ে শত্রুপক্ষের অস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম পৃথ্বী
পৃথ্বী-2-এর সফল উৎক্ষপণে উচ্ছ্বসিত ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রক ৷ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে লক্ষ্যভেদ করতে এতটুকুও ভুল করেনি পৃথ্বী-2 ৷ এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বাধিক 350 কিলোমিটার উড়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম ৷ সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা এবং ডিআরডিওর প্রাক্তন প্রধান ড. জি সতীশ রেড্ডি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে ভারত এখন স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে ৷ ভারতের কাছে নিজের তৈরি এবং বন্ধু দেশগুলির সহযোগিতায় পাওয়া ক্ষেপণাস্ত্রের বিপুল সম্ভার রয়েছে ৷ বর্তমানে ভারত যে পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে, তা যেকোনও দেশই পেতে চাইবে !