নয়াদিল্লি, 8 ডিসেম্বর: লোকসভা নির্বাচনের আগে ভরাডুবি কংগ্রেসের ৷ তেলেঙ্গনা ছাড়া ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে বিপুল ভোটে বিধানসভা নির্বাচনের অ্যাসিড টেস্টে পাশ করেছে বিজেপি ৷ তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্ব ও ভবিষ্যত নিয়ে ৷ কোথায় রইল ভুল, তা খুঁজে পেতে ও আগামী লোকসভা নির্বাচনে নতুন রণকৌশল তৈরি করতে ফের বৈঠকে বসতে চলেছে ইন্ডিয়া জোট ৷ তারিখ এখনও চূড়ান্ত না হলেও, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি অর্থাৎ 17-20 তারিখের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনে পর্যুদস্ত হওয়ার কারণ বিশ্লেষণে বসতে চলেছে ইন্ডিয়া জোট বলে সূত্রের খবর ৷
লোকসভা ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোট বিভিন্ন রাজ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে ৷ যাতে প্রার্থীদের প্রচারের জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে ৷ বুধবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গের বাসভবনে 'ইন্ডিয়া' জোটের নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন ৷ লক্ষ্য একটাই, লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের রণকৌশল তৈরি করে নেওয়া ৷
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এ রেভান্থ রেড্ডির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য কংগ্রেসের ছাড়াও তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন ইন্ডিয়া জোটের মুখ হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ৷ তেলেঙ্গানায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, পূর্ব নির্ধারিত ব্যস্ততার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি ৷ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গে, সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভদড়া ছাড়াও কর্ণাটক ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং সুখবিন্দর সিং সুখু রেহান্থের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের কৌশল নির্ধারণের জন্য সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত বিরোধী নেতাদের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা আসন ভাগাভাগির বিষয়টিও উত্থাপন করেছিলেন। ভারত ব্লকের শেষ বৈঠকটি 31 আগস্ট থেকে 1 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে 13 সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (I.N.D.I.A) এর সমন্বয় কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।