নয়াদিল্লি, 13 ডিসেম্বর:ফের ভারত-চিন সংঘর্ষ ৷ তবে এবার খুব গুরুতর চোট পায়নি কোনও পক্ষই, সোমবার এমনটাই দাবি করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ৷ শুক্রবার, অরুণাচলপ্রদেশে তাওয়াং সেক্টরে দু'দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঝামেলা বাধে এবং তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায় (Tawang Clash) ৷
তবে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে দুই বাহিনী সীমান্ত এলাকা থেকে সরে যায় ৷ 9 ডিসেম্বর চিনের পিএলএ বাহিনীর সেনারা (People's Liberation Army, PLA) ভারত-চিন সীমান্তে 'লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল' (Line of Actual Control, LAC) পার করে দেশের মধ্যে ঢুকে পড়ে ৷ তখন ভারতীয় সেনাবাহিনী তা রুখতে পালটা আক্রমণ করে ৷ এতে দু'দেশেরই মাত্র কয়েকজন আধিকারিকের সামান্য আঘাত লেগেছে ৷ এই সংঘাতের পর তড়িঘড়ি দু'দেশের বাহিনী বিতর্কিত এলাকা ছেড়ে চলে যায় ৷
চিনের দখলদারির যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৷ তবে ভারতীয় জওয়ানদের যতজন আহত হয়েছেন, তার তুলনায় জখম পিএলএ সেনার সংখ্যা বেশি ৷ সূত্র অনুযায়ী, চিনের প্রায় 300 জন সেনা ভালো ভাবে তৈরি হয়ে এসেছিল ৷ তারা ভাবতে পারেনি ভারতীয় বাহিনীও জবাব দিতে প্রস্তুত ৷
আরও পড়ুন: গালওয়ান সংঘর্ষের নতুন ভিডিয়ো প্রকাশ চিনের
এই ঘটনার পর শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরাতে ওই এলাকায় ভারতীয় সেনা কম্যান্ডার চিনের সমতুল আধিকারিকের সঙ্গে একটি 'ফ্ল্যাগ মিটিং' করবেন বলে জানা গিয়েছে ৷ একটি সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, তাওয়াং সেক্টের আহত কমপক্ষে 6 জন জওয়ানকে চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
2020 সালের 15 জুন গালওয়ানে ভারত-চিন বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ৷ বিগত 5 দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর গণ্ডগোল বেঁধেছিল এবং 20 জন সেনা মারা গিয়েছিলেন ৷ তার মধ্যে একজন 16 বিহার রেজিমেন্টের কলোনেল বি সন্তোষ বাবু ৷ এর দু'বছর বাদে 9 ডিসেম্বর একই রকম ঘটনা ঘটল অরুণাপ্রদেশের তাওয়াংয়ে ৷
এ নিয়ে স্বভাবতই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে বিজেপি সরকার ৷ সূত্রে খবর, আজ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কংগ্রেস মোদি সরকারের অবস্থান স্পষ্ট ভাবে জানতে চাইবে ৷ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে জবাব চেয়েছেন ৷ তিনি এ নিয়ে টুইট করে জানান, ফের ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করেছে চিনের বাহিনী ৷ আমাদের জওয়ানরা যুদ্ধ করেছেন এবং তাঁদের মধ্যে কয়েকজন আহত হয়েছেন ৷ আমরা এ নিয়ে কোনও রাজনীতি করতে চাই না ৷ দেশের জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে আমরা দেশের সঙ্গে রয়েছি ৷ ভারত-চিন ইস্যুতে সরকারের সংসদে আলোচনা করা উচিত ৷ দেশবাসী এতে আত্মবিশ্বাস পাবে ৷
আরও পড়ুন: অরুণাচলে চিনের আগ্রাসন নিয়ে পেন্টাগনের রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে ভারত