নিউ দিল্লি, 19 এপ্রিল: ইলেকট্রিক যান নির্মাণে খুব শীঘ্রই ভারত বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করবে ৷ অ্যামাজন-এর ভার্চুয়াল ‘সম্ভব সামিট’-এ এমন উন্নয়নের কথাই ঘোষণা করলে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি ৷
খুব বেশি হলে আগামী ছ'মাস, তার মধ্যেই দেশে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে ৷ গড়করি বলেন, "ইলেকট্রিক যান তৈরিতে ভারত উন্নতি করছে ৷ ভারতে সব ক'টি নামজাদা সংস্থা রয়েছে ৷ কিছুদিনের মধ্যেই ইলেকট্রিক যান নির্মাণে আমরা বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করব ৷'’
একই সঙ্গে তাঁর বিশ্বাস যে, ভবিষ্যতে দু'বছরের মধ্যে ইলেকট্রিক যানের দাম এতটাই কমে যাবে যে, তা পেট্রল-ডিজেল চালিত গাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু হবে ৷
আরও পড়ুন: জীবনের থেকেও বড় প্রচারের অধিকার? বিজেপি-কমিশনকে তোপ মহুয়ার
অক্সিজেন আর হাইড্রোজেনের বিক্রিয়ায় তৈরি ইলেকট্রিক শক্তি, যাকে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল টেকনোলজি বলা হয় ৷ প্রাকৃতিক দূষণের কথা মাথায় রেখে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ দেশের উৎপাদন সংস্থাগুলির সঙ্গে ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিন তৈরির ব্যাপারেও কথাবার্তা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে ৷ দেশে অ্যালুমিনিয়াম-এয়ার সিস্টেম গড়ে তুলতে কেন্দ্রের পেট্রলিয়াম মন্ত্রক সম্প্রতি ইন্ডিয়ান অয়েল আর ইজরায়েল কোম্পানি ফিনার্জি-র সঙ্গে গাটছঁড়া বেঁধেছে ৷
তিনি এও জানান যে, ভারতে আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রিক যান তৈরি হবে ৷ দেশের অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি এক নম্বরের হবে ৷ সেই জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার এখন, ইথানল, মিথানল, বায়ো-সিএনজি, ইলেকট্রিক আর হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল তৈরিতে উৎসাহ দিচ্ছে ৷
নীতিন গড়করি এই সম্মেলনে উল্লেখ করেন যে, দেশে দূষণবিহীন পরিবহণ ব্যবস্থা তৈরি করতে ই-মোবিলিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ৷ বর্তমানে ভারত আট লক্ষ কোটি টাকার অপরিশোধিত তেল আমদানি করে আর সেই পরিমাণটা আগামী 4-5 বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হবে ৷ তা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর বিশাল প্রভাব ফেলবে ৷