নিউ দিল্লি, 30 মে : ডমিনিকার জেলখানায় আটক চোক্সি কোথায় যাবেন? পিএনবি-র টাকা তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত ও পলাতক মেহুল চোক্সিকে ভারতে ফিরিয়ে আনার দীর্ঘ চেষ্টা চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷
গারদের লোহার শিক ধরে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন । বাঁদিকের চোখ লাল হয়ে ফুলে রয়েছে ৷ হাতে, কবজিতে কালশিটের ছাপ স্পষ্ট ৷ ডমিনিকায় ধরা পড়ার পরের দিন অ্যান্টিগার একটি সংবাদসংস্থা তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে তাঁর এই ছবি প্রকাশ করে লিখেছে, "গারদের পিছনে মেহুল চোক্সির প্রথম ছবি ।"
2018 সাল থেকে অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানে বাস করছিলেন মেহুল চোক্সি ৷ এবার ভারত সরকারি ভাবে ডমিনিকার সরকারকে জানিয়েছে যে মেহুল ভারত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোল "রেড কর্নার" নোটিস জারি করেছে ৷ তার ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না ৷ অপরাধগুলো চাপা দেওয়ার জন্যই তার অন্য দেশের নাগরিকত্বের বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে ৷
এমনকি অ্যান্টিগাও মেহুলকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ডমিনিকার সরকারকে ৷ এদিকে অ্যান্টিগাতে চোক্সি আইনগত ভাবে পুরোপুরি সুরক্ষিত ৷ যদিও অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গাস্টিন ব্রাউন পলাতক ব্যবসায়ীকে ফিরিয়ে নেবে না বলেই জানিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, চোক্সির প্রত্যর্পণ নিয়ে ডমিনিকাকে নথি পাঠিয়েছে ভারত ৷
আরও পড়ুন : লাল ফোলা চোখ, হাতে কালশিটে, প্রকাশ্যে ডমিনিকার গারদে মেহুলের প্রথম ছবি
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেহুল চোক্সিকে নিয়ে নতুন একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ অ্যান্টিগার বিরোধী দল ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ পার্টি (ইউপিপি) অথবা ডমিনিকার ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স পার্টি (এইডব্লিউপি), দু'দলই চোক্সিকে নিজের নিজের দিকে টানতে চাইছে ৷ যাতে ভবিষ্যতে দুই দলই চোক্সির রাজনৈতিক ও আর্থিক সাহায্য পেতে পারে ৷ আপাতত মেহুলের হস্তান্তরের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে ডমিনিকার আদালত ৷
সূত্রে জানা গিয়েছে, 2 জুন পরবর্তী শুনানির জন্য চোক্সি বিশেষ আইনজীবীর দলের ব্যবস্থা করেছেন ৷ পাশাপাশি স্থানীয় রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টাও চালাচ্ছেন ৷ সেদিন ডমিনিকার হাইকোর্ট মেহুলের হিবিয়াস কর্পাস মামলাও শুনবে ৷