পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Broken Rice Export: ভাঙা চালের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

শুক্রবার থেকে (9 সেপ্টেম্বর, 2022) ভাঙা চালের রফতানি (Broken Rice Export) নিষিদ্ধ হল ভারতে ৷ উৎপাদন কম হওয়াতেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের ৷

India imposes ban on broken rice export
Broken Rice Export: ভাঙা চালের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

By

Published : Sep 9, 2022, 12:45 PM IST

নয়াদিল্লি, 9 সেপ্টেম্বর:বিদেশে ভাঙা চালের রফতানি (Broken Rice Export) বন্ধ করল ভারত সরকার ৷ সূত্রের খবর, রফতানি নীতিতে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে ৷ রফতানি ক্ষেত্রে 'মুক্ত' এবং 'নিষিদ্ধ' তালিকায় থাকা পণ্যগুলিতে কিছু পরিবর্তন করেছে সরকার ৷ তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে ৷ জরুরি ভিত্তিতে শুক্রবার থেকেই (9 সেপ্টেম্বর, 2022) ভাঙা চালের রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ৷

তবে, এরপরও আগামী 15 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কয়েকটি ক্ষেত্রে ভাঙা চাল বিদেশে রফতানি করা যাবে ৷ সূত্রের খবর, ভাঙা চালের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশের আগেই যে পরিমাণ চালের রফতানি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল, শুধুমাত্র সেই পরিমাণ চাল যাতে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতেই শুধুমাত্র কয়েকটি ক্ষেত্রে এই শিথিলতা বহাল থাকবে ৷

আরও পড়ুন:1 জুন থেকে চিনি রফতানিতে নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

কিন্তু, হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে এমন পদক্ষেপ করতে হল কেন ? তথ্য বলছে, গত বছরের খারিফ মরশুমে যে পরিমাণ চাল উৎপন্ন হয়েছিল, এ বছর সেই পরিমাণটা তুলনায় অনেকটাই কম ৷ এই অবস্থায় ভাঙা চালের রফতানি বিদেশে অব্য়াহত রাখলে দেশীয় বাজারে চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে সমস্যা তৈরি হবে ৷ সেই কারণেই তড়িঘড়ি রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে ৷ এদিকে, এই প্রেক্ষাপটেই বৃহস্পতিবার বাসমতী বাদে অন্যান্য চালের (Non-Basmati rice) রফতানির উপর 20 শতাংশ কর (Export Duty) ধার্য করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই করও শুক্রবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে ৷

সরকারের হাতে আসা তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের খারিফ মরশুমে ধানের চাষ গত বছরের তুলনায় প্রায় 6 শতাংশ কম হয়েছে ৷ সব মিলিয়ে 383.99 লক্ষ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ করা হয়েছে ৷ মূলত বছরের জুন-জুলাই মাসে ভারতে খারিফ মরশুম শুরু হয় ৷ ফসল কাটার কাজ আরম্ভ করা অক্টোবর মাস থেকে ৷ যা চলে প্রায় নভেম্বর পর্যন্ত ৷ কিন্তু, এবছর জুন-জুলাই মাস থেকেই সেভাবে চাষের কাজ শুরু করা যায়নি ৷ এর অন্যতম প্রধান কারণ হল বৃষ্টিপাতের অভাব ৷ জুন মাসে যে সময় দেশে বর্ষা ঢোকা উচিত ছিল, তার অনেকটা পরে মৌসুমী বায়ুর আগমন ঘটে ৷ ফলে বৃষ্টি শুরু হতেও বাড়তি সময় লেগে যায় ৷ এরপর জুলাই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি হয়নি ৷ যার প্রভাবে মার খেয়েছে ধানের ফলন ৷ এর জেরেই বিদেশে চাল রফতানির উপর রাশ টানার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কেন্দ্রকে ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details