কলকাতা, 9 অগস্ট : ইন্ডিয়ান আর্মড ফোর্সেস (Indian Armed Forces) ৷ পদাতিক, নৌ ও বায়ু - এই বাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ৷ 1947 সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যত সময় এগিয়েছে, ততই এই তিন বাহিনীর মুকুটে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন সাফল্যের পালক ৷
ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army), নৌসেনা (Indian Navy) ও বায়ুসেনা (Indian Air Force) নিয়ে আর্মড ফোর্সেস তৈরি হলেও আরও একাধিক বাহিনী সহযোগী হিসেবে কাজ করে ৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Defence Ministry) অধীনস্ত হলেও এই তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ভারতের রাষ্ট্রপতি (President of India) ৷ এখন পদাধিকার বলে দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) ৷
এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সংখ্যা 1.5 মিলিয়ন, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাহিনী ৷ গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী চতুর্থস্থানে রয়েছে ৷ 2022-23 অর্থবর্ষে ভারতীয় সেনার জন্য সরকার বরাদ্দ করা অর্থের পরিমাণ হল 5 লক্ষ 25 হাজার 166 কোটি টাকা, যা বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা বাজেট ৷
স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি তিনটি যুদ্ধ লড়েছে ভারত ৷ 1947, 1965 ও 1971 প্রতিটি যুদ্ধে জিতেছে ভারত ৷ এছাড়া কার্গিল যুদ্ধে (Kargil War), সিয়াচেনের লড়াইয়ে ভারতীয় সেনারাই জয় পেয়েছে ৷ অন্যদিকে পর্তুগিজ-ভারত যুদ্ধ, চিন-ভারত যুদ্ধ ছাড়াও একাধিক লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ৷
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাফল্য যেমন এসেছে, তেমনই রণসম্ভারও বেড়েছে ভারতীয় সেনার৷ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান থেকে নৌজাহাজ পারমাণবিক মিসাইল, অনেক কিছুই রয়েছে ভারতীয় সেনার অস্ত্র ভান্ডারে ৷ বিতর্কও তৈরি হয়েছে অনেক ৷ গত শতাব্দীর আটের দশকের শেষে বোফোর্স কেলেঙ্কারি গোটা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছিল ৷ আবার এই কয়েক বছর আগে ফ্রান্স থেকে রাফালে (Rafale) যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয় ৷ দু’টি ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ৷
স্বাধীনতা উত্তর সময়ে ভারতীয় সেনার অন্যতম কৃতিত্ব অবশ্যই বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ ৷ আর গত বছর গালওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে যে লড়াই করেছে ভারতীয় সেনা, সেটাও প্রশংসিত হয়েছে বিভিন্ন মহলে ৷
আরও পড়ুন :জীবনে একবারই গুলি ছুড়েছিলেন ভগৎ সিং