গুয়াহাটি, 10 অক্টোবর : 1887 সালের 28 ফেব্রুয়ারি অসমের জোড়হাট জেলার সর্বাইবন্ধে জন্মগ্রহণ করেন কৃষ্ণনাথ শর্মা ৷ তিনি যথার্থ অর্থেই গান্ধিবাদী ছিলেন ৷ ভারতের হরিজন সম্প্রদায় বা দলিতদের উন্নয়নের স্বার্থেই 1932 সালে ‘হরিজন সেবক সংঘ’ নামে একটি সংস্থা তৈরি করেছিলেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধি ৷ এই সংঘের সহযোগিতাতেই মন্দির, স্কুল, রাস্তা এবং নদী-পুকুরের মতো জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল পিছিয়ে থাকা এই সম্প্রদায়ের ৷ সারা দেশের পাশাপাশি অসমও সাক্ষী ছিল এই আন্দোলনের ৷ যার মূল কাণ্ডারী ছিলেন কৃষ্ণনাথ শর্মা ৷ যাঁকে সকলে চেনে হরিজন বন্ধু নামে ৷
আরও পড়ুন :Independence Special : স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল সবরমতী আশ্রম
অচ্ছুতের যে প্রথা চিরাচরিতভাবে ভারতের সমাজে চলে আসছিল, তা সমূলে উৎখাত করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন কৃষ্ণনাথ ৷ কুলীন ব্রাহ্মণ সন্তান হলেও দলিতদের প্রার্থনা করার জন্য নিজের বাড়ির নামঘরে আমন্ত্রণ জানাতেন তিনি ৷ যা সেই সময় দাঁড়িয়ে কেউ করে দেখানোর সাহস পর্যন্ত পেত না ৷ গান্ধিজির হরিজন আন্দোলনে সামিল হয়ে আগাগোড়া হরিজনদের সমাজের মূল স্রোতে আনার লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি ৷ বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা শেষ করে আর্ল ল’ কলেজ থেকে আইন নিয়েও স্নাতক হন কৃষ্ণনাথ ৷ বেশ কিছুদিন ওকালতিও করেছিলেন ৷ কিন্তু 1921 সালে তাতে ইতি টানেন তিনি ৷ গান্ধিজির অসহযোগ আন্দোলনে সরাসরি সামিল হওয়ার জন্য পেশা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ৷