নয়াদিল্লি, 18 সেপ্টেম্বর: ঠিকানা বদলাচ্ছে দেশের সংসদ ভবন। কয়েক বছর সময়ের মধ্যে তৈরি হওয়া নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনও হয়ে গিয়েছে। বিশেষ অধিবেশন দিয়েই শুরু হবে এই নয়া ভবনের পথ চলা। তার আগে পুরনো সংসদ ভবনকে নিয়ে নিজেদের আবেগ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন 10 মহিলা সাংসদ। হাতে লেখা নোটে শাসক এবং বিরোধী উভয় শিবিরের এই সাংসদরা পুরনো সংসদ ভবন নিয়ে নিজদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন।
তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সকলেই স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়লেন। মহুয়া লেখেন, "প্রতিটি মানুষের কাছে তাঁর প্রথম বাড়ি খুব প্রিয় হয়ে থাকে। পুরনো সংসদ ভবনও আমার কাছে তাই। শাসক থেকে শুরু করে বিরোধীদের এই ভবন অনেক কিছু শিখিয়েছে, সমৃদ্ধ করেছে। ভবন বদলাবে তবে সংসদীয় রীতির মূল ভাবনা একই থাকবে। স্বাধীনভাবে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের মত প্রকাশের অধিকার আসলে এক মুক্ত দেশকেই প্রতিনিধিত্ব করে।"
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আপনা দলের সাংসদ অনুপ্রিয়া প্যাটেল লেখেন," পুরনো সংসদ ভবন দেশকে স্বাধীন হতে দেখেছে। দেশের সংবিধানকে তৈরি হতে দেখেছে। এই ভবনে প্রবেশ সবসময়ই এক বিশেষ ব্যাপার হয়ে থেকেছে আমার জন্য।" রাজ্য সভার সাংসদ তথা প্রাক্তন অ্যাথলিট পিটি উষা লেখেন,"1986 সালে পদক জেতার পর প্রথম এই সংসদ ভবনে এসেছিলাম। সেদিন সাংসদদের অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা বার্তায় আপ্লুত হয়েছিলাম। এরপরও কয়েকবার এসেছি। তবে যেদিন রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিতে এসেছিলাম সেদিনটা কখনও ভুলব না।"
শিবসেনার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লেখেন, "স্মৃতি আমাদের নানা রকমের শিক্ষা দিয়ে যায়। অসংখ্য আলোচনা শুনেছে এই বাড়িটা। দেশকে স্বনির্ভর হতে শিখিয়েছে। এর অংশ হতে পারা আমার কাছে বিরাট ব্যাপার।" এঁদের পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ পুণম মহাজন থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিরাও নিজেদের আবেগের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন:স্মৃতি উসকে অস্তাচলে ইতিহাস...