প্রেমের টানে পাক মুলুকে, চার বছর জেলে কাটিয়ে ঘরে ফিরছেন হায়দরাবাদের তরুণ

অনলাইনে আলাপ হওয়া তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে বেআইনিভাবে পাকিস্তানে ঢুকেছিলেন হায়দরাবাদের তরুণ ৷ দীর্ঘ চার বছর সেখানকার জেলে কাটানোর পর ভারতে ফেরেন তিনি ৷ মঙ্গলবার বিকেলেই ফিরবেন পরিবারের কাছে ৷

হায়দরাবাদ, 1 জুন : অবশেষে মিলল স্বস্তি ৷ অনলাইন বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে বেআইনিভাবে পাকিস্তানে ঢোকার চার বছর পর ঘরে ফিরছেন হায়দরাবাদের তরুণ ৷ খুশি তাঁর পরিবার ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, হায়দরাবাদের বাসিন্দা প্রশান্ত পেশায় সফটওয়্য়ার ইঞ্জিনিয়র ৷ তাঁর সঙ্গে অনলাইনে আলাপ হয় পাকিস্তানের এক তরুণীর ৷ মুখোমুখি সাক্ষাৎ না হলেও এই আলাপ কিছুদিনের মধ্য়েই গভীর হতে শুরু করে ৷ প্রথমে বন্ধুত্ব আর পরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পড়শি দুই দেশের দুই তরুণ নাগরিক ৷ এরপরই পাকিস্তানে গিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন প্রশান্ত ৷ 2017 সালে বেআইনিভাবে ভারত-পাক সীমান্ত পার করেন তিনি ৷ তবে বান্ধবীর দেখা পাওয়ার আগেই পাক প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি ৷ গ্রেফতার করা হয় প্রশান্তকে ৷

বিষয়টি জানার পরই ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হন প্রশান্তের বাবা বাবুরাও ৷ কার্যত প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘোরেন তিনি ৷ 2019 সালে এই কারণেই সাইবেরাবাদের পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জানারের সঙ্গেও দেখা করেন বাবুরাও ৷ তাঁর কাছে ছেলেকে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানান ৷

অসহায় বাবার ডাকে সাড়া দেন পুলিশ কর্তাও ৷ তিনিই গোটা ঘটনা কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ও কার্যালয়ে জানান ৷ এরপর প্রশান্তকে দেশে ফেরানোর লাগাতার চেষ্টা শুরু করে ভারত সরকার ৷ অবশেষে ওয়াঘা সীমান্তে ওই যুবককে ভারত সরকারের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷

আজ (মঙ্গলবার) সন্ধেতেই হায়দরাবাদে ফেরার কথা প্রশান্তের ৷ মাঝে চার-চারটে বছর কেটে গিয়েছে পাকিস্তানের জেলে ৷ অবশেষে ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার খবরে খুশি প্রশান্তের পরিবারের সদস্যরা ৷ এর জন্য সাইবেরাবাদের পুলিশ প্রশাসন তথা ভারত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তাঁরা ৷