আগ্রা, 26 ডিসেম্বর:স্ত্রী গুটখা খায় আর বাড়ির এদিক ওদিক যত্রতত্র পিক ফেলেন ৷ মহিলার এই কর্মকাণ্ডে তাঁর স্বামী এতটাই বিরক্ত যে স্ত্রীকে আর সঙ্গে রাখতে চাইছেন না ৷ এই অভিযোগ নিয়ে জেলার পারিবারিক কাউন্সেলিং সেন্টারের দ্বারস্থ হয়েছেন ব্যক্তি ৷ তবে এটা প্রথমবার নয়, এর আগেও একবার এই অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন ৷
অভিযোগকারী ব্যক্তি জানিয়েছেন, আগের বার কাউন্সেলিং চলাকালীন স্ত্রী গুটখা না খাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছুদিন পর আবারও স্বেচ্ছাচারিতা শুরু করেন । নিজেই দোকান থেকে গুটখা কিনে খান । গুটখার পিকে ঘরের প্রতিটি কোণ বিবর্ণ করে ফেলেছেন তিনি । রবিবার আগ্রা পুলিশ লাইন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত পারিবারিক কাউন্সেলিং সেন্টারে স্বামীর অভিযোগ শুনে অবাক কাউন্সেলররাও ।
কাউন্সেলর ডঃ অমিত গৌড়ের মতে, হরিপর্বত থানার জীবনী মান্ডির বাসিন্দা এক যুবকের বিয়ে হয় মাত্র আট মাস আগে । যুবকের অভিযোগ, বিয়ের পর তিনি খুব খুশি ছিলেন ৷ কিন্তু আজকাল স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে তিনি খুব বিরক্ত । বউ গুটখা খায় ঘরের প্রতিটি কোণে পিক ফেলে ৷ এর জেরে পুরো ঘর সবসময় নোংরা থাকে । অনেকবার বোঝানো হলেও স্ত্রী গুটখা ছাড়তে রাজি হচ্ছে না । প্রতিবাদ করার সময় উপরন্তু তিনি অকথ্য শব্দ ব্যবহার করেন । এমনকি নিজের শ্বশুরবাড়িকেও সম্মান করেন না মহিলা ।
স্বামী জানান, বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রীর বদভ্যাসের কথা জানতে পারেন তিনি । বোঝানোর পরও রাজি না হলে বিয়ের মাত্র দুই মাস পর তাকে তার বাবা-মায়ের বাড়িতে পাঠানো হয় । তার বাবা-মাকেও তার স্ত্রীর কর্মকাণ্ডের কথা জানানো হয় । এরপর স্ত্রী আর কখনও গুটখা খাবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও শ্বশুরবাড়িতে আসার কিছুদিন পর থেকে আবার গুটখা খেতে শুরু করে । এরপর স্ত্রীকে ফের বাপেরবাড়িতে রেখে কাউন্সেলিং সেন্টারে অভিযোগ দায়ের করেন যুবক ।
তাঁর আরও অভিযোগ, স্ত্রী নিজেই গুটখা কেনেন । এই নিয়েও এলাকার লোকজন নানা কথা বলেন । প্রথম কাউন্সেলিংয়ে স্ত্রী গুটখা না খাওয়ার আশ্বাস দিলেও আবার খাওয়া শুরু করেন । সে কারণে আবার কাউন্সেলিং সেন্টারে আসা ৷