পত্তিকোণ্ডা (অন্ধ্রপ্রদেশ), 28 ডিসেম্বর: তিনি সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন না ৷ আর শুধুমাত্র সেই কারণেই চরম লাঞ্ছনা ও অত্যাচারের শিকার হতে হল গৃহবধূকে (Domestic Violence) ৷ তাঁর বাবা-মায়ের অভিযোগ, সন্তানের জন্ম দিতে না পারায় তাঁদের মেয়েকে খুনের চেষ্টা করেন জামাই ! এমনকী, মেরে তাঁর হাত, পা ভেঙে দেওয়া হয় ! কোনও মতে প্রাণে বেঁচে গেলেও আপাতত গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই তরুণী ৷
গার্হস্থ্য হিংসার এই অভিযোগটি ওঠে মঙ্গলবার ৷ ঘটনাস্থল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) কুর্নুল (Kurnool) জেলার ডন মণ্ডলের অন্তর্গত চানুগণ্ডল ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বধূর নাম ভবানী ৷ তিনি চন্দোলি গ্রামের বাসিন্দা লালাপ্পা ও অধিলক্ষ্মীর মেয়ে ৷ ভবানীর বিয়ে হয়েছিল রাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ৷ তিনি চানুগণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা ৷ ভবানী ও রামের বিয়ের বয়স এখনও তিনবছরও পূর্ণ হয়নি ৷ কিন্তু, এর মধ্যেই ভবানীর উপর অত্যাচার চরমে উঠেছে বলে দাবি করেছেন তাঁর মা-বাবা ৷
আরও পড়ুন:আপ বিধায়ককে চড় স্বামীর, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়ো
লালাপ্পা ও অধিলক্ষ্মীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মেয়ে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার ৷ এর জন্য জামাই রাম ও তাঁর বোনকে দায়ী করেছেন দম্পতি ৷ তাঁদের দাবি, বিয়ের পর থেকেই ভবানীকে গর্ভধারণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে ৷ কিন্তু, ভবানীর সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে ৷ একথা জানার পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচারের বহর আরও বাড়ে ৷ মানসিক নিগ্রহ তো ছিলই, ভবানীর গর্ভধারণ সংক্রান্ত জটিলতা জানার পর থেকে তাঁর উপর নিয়মিত শারীরিক অত্যাচারও শুরু হয় ৷
মঙ্গলবার অত্য়াচারের মাত্রা চরমে ওঠে ৷ ওই দিন রাম তাঁর স্ত্রী ভবানীকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ ৷ মারের চোটে ভবানীর একটি হাত ও একটি পা ভেঙে যায় ! এই খবর কানে যাওয়ার পরই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পৌঁছন লালাপ্পা ও অধিলক্ষ্মী ৷ সেখান থেকে ভবানীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁরা ৷ মেয়েকে কোনও মতে অটোয় তুলে স্থানীয় পত্তিকোণ্ডা গভর্মেন্ট হাসপাতালে পৌঁছন ওই দম্পতি ৷ কিন্তু, ভবানীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে কুর্নুলের হাসপাতালে রেফার করে দেন ৷ ভবানীর চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর তাঁর স্বামী রাম-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন লালাপ্পা ও অধিলক্ষ্মী ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷