রায়পুর, 28 ফেব্রুয়ারি:ছত্তিশগড়ের গুরু ঘাসীদাস ন্যাশনাল পার্কে প্রথমবারের জন্য দেখা মিলল হানি ব্যাজারের (Honey Badger) ৷ এই রাজ্যের মনেন্দ্রগঢ়-চিরিমিরি-ভরতপুর জেলায় অবস্থিত এই ন্যাশনাল পার্কের কুনওয়ারপুর জঙ্গল এলাকায় এই প্রাণীটিকে দেখতে পেয়েছেন এলাকাবাসীরা (Chhattisgarh Manendragarh forest area) ৷ তবে প্রাণীটি যে হানি ব্যাজার তা তাঁরা বুঝতে পারেননি ৷ এলাকাবাসীর তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে বন দফতর ওই প্রাণিটিকে হানি ব্যাজার বলে চিহ্নিত করে ৷ ভরতপুর ব্লকের অন্তর্গত এই বনাঞ্চলে এই প্রথম দেখা মিলল ভল্লুকের মতো দেখতে এই প্রাণীটির ৷
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হানি ব্যাজার আকারে ছোট হয় ৷ উচ্চতায় দুই থেকে আড়াই ফুট ও ওজনে 5-7 কেজি ৷ এরা সিংহ, চিতাবাঘ, হায়না-সহ যেকোনও শিকারি জন্তুর সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা রাখে ৷ বিশ্বের অন্যতম সাহসী প্রাণী বলে পরিচিত এই হানি ব্যাজার ৷ ভারতে স্থানীয়ভাবে একে অনেকে চিরকভাল বলেও ডাকেন ৷
ছত্তিশগড়ের এই অঞ্চলে এই প্রাণীটিকে দেখতে পাওয়া প্রসঙ্গে গুরু ঘাসিদাস ন্যাশনাল পার্কের ডিরেক্টর রামা কৃষ্ণ জানিয়েছেন, এই ন্যাশনাল পার্ক ছাড়াও কোরিয়া ও মনেন্দ্রগড় বন বিভাগেও হানি ব্যাজারের দেখা মিলেছে ৷ তিনি আরও জানান, এই প্রাণীগুলি মৌচাক খুঁজে সেখান থেকে লার্ভা ও মধু সংগ্রহ করে খায় ৷ যদিও এগুলি আকারে ছোট তবে, স্বভাবে খিপ্র প্রকৃতির ৷
আরও পড়ুন: পরিবারের সামনে দিয়ে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গেল চিতাবাঘ
এদের ধারালো ও বড় নখ নিয়ে এরা মাটি খুঁড়ে 20 থেকে 25 ফুট পর্যন্ত গর্ত তৈরি করতে পারে ৷ এই প্রাণীগুলি সংরক্ষিত প্রাণীর তালিকায় পড়ে ৷ চোরা শিকারিরা মূলত এদের চামড়া ও থাবার জন্য এদের শিকার করার ধান্দায় থাকে ৷ মূলত প্রসাধনী সামগ্রী তৈরিতে এই প্রাণীর দেহাংশ ব্যবহার করা যায় ৷ বলা হয় এদের চামড়া মোটা হওয়ায় মৌমাছি এদের গায়ে হুল ফোটাতে পারে না ৷ লড়াইতেও এরা সহজে আহত হয় না ৷ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই প্রাণীর দেখা মেলে ৷