নয়াদিল্লি, 8 ডিসেম্বর: অবশেষে হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) সাফল্য পেলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra) ৷ কংগ্রেসের (Congress) এই সাধারণ সম্পাদকই পাহাড়ি ওই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের নেতৃত্বে ছিলেন ৷ ফলে সেখানে বিধানসভা ভোটে জয়ে তিনি সাফল্যের ভাগীদার হলেন ৷ কংগ্রেসের নেতৃত্বে স্বাভাবিক ভাবে কিছুটা এগিয়েও গেলেন ৷ চলতি বছরের শুরুতে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) তাঁর নেতৃত্বে ভোটের লড়াইয়ে নেমে 403টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস মাত্র 2টি আসনে জিতেছিল ৷ সেই ক্ষতে অনেকটাই প্রলেপ দিল হিমাচল প্রদেশ ৷ তাঁর সঙ্গে এই সাফল্যের অংশীদার রাজীব শুক্লাও ৷ কারণ, তিনিই এখন হিমাচলে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ৷
গত 12 নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন হয় ৷ প্রচার শেষ হয় গত 10 নভেম্বর ৷ সেদিন হিমাচলের রাজধানী শৈলশহর শিমলায় রোড শো করেন প্রিয়াঙ্কা ৷ তবে তার আগে প্রচারে পুরো রাজ্য ঘুরে ফেলেছিলেন তিনি ৷ প্রচারে তিনি বারবার হিমাচল তৈরিতে তাঁর ঠাকুরমা ইন্দিরা গান্ধির (Indira Gandhi) প্রসঙ্গ টেনেছিলেন ৷ দাবি করেছিলেন, 1971 সালে হিমাচল প্রদেশকে আলাদা রাজ্য়ের স্বীকৃতি দেওয়ার পর সেখানে ইন্দিরা গান্ধিই উন্নয়নের গতি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ৷
বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া ছিল ৷ সেটাই ব্যবহার করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা ৷ হিমাচলে বিজেপি গত পাঁচ বছরে কোনও কাজ করেনি বলেও বারবার অভিযোগ করেছিলেন ৷ নির্বাচনের ফল বলছে যে প্রিয়াঙ্কার দাবিকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন ভোটাররা ৷ ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস ৷ এখন প্রিয়াঙ্কার চ্যালেঞ্জ প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য ভালো মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ি এই রাজ্যের বাসিন্দাদের উপহার দেওয়া ৷
অন্যদিকে রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব শুক্লাকে (Rajeev Shukla) গত বছর হিমাচলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ৷ রাজনীতিতে তাঁর সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা কম ৷ ফলে তিনি কেমন ভাবে সেখানকার নেতাদের সামলাবেন, সেই প্রশ্ন ছিল ৷ ফলে এই জয়ে তিনি সাফল্যের অংশীদার হলেন ৷ তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতাও এবার কিছুটা হলেও কংগ্রেসের অন্দরে স্বীকৃতি পেল ৷