উত্তরকাশী, 15 নভেম্বর: তিন দিন কেটে চতুর্থ দিন ৷ এখনও উত্তরকাশীতে টানেলের মধ্য়ে আটকে রয়েছেন প্রায় 40 জন শ্রমিক ৷ এর মধ্যে বুধবার ভারতীয় বায়ুসেনার সাহায্যে আরও বড় ড্রিল মেশিন এসে পৌঁছল উত্তরাখণ্ডের চিনইয়ালিসৌর হেলিপ্যাডে ৷ এখান থেকে মেশিনটি ওই টানেলে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ খুব শীঘ্রই এই ড্রিল মেশিনটি দিয়ে ড্রিলিংয়ের কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ এই ড্রিল মেশিনের মাধ্যমে টানেলের মধ্যে একটি পাইপকে আরও ভিতরে ঢোকানো হবে ৷ এই পাইপের মধ্যে দিয়ে ওই আটকে থাকা শ্রমিকদের বের করার কথা ভাবা হয়েছে ৷
12 নভেম্বর, রবিবার ভোর 4টে নাগাদ ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের সিল্কইয়ারা-বারকোটে নির্মীয়মান টানেলের একটি অংশে ধস নামে এবং সেটি ভেঙে পড়ে ৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকার্য শুরু হয় ৷ তবে 72 ঘণ্টা পার হওয়ার পরে এখনও শ্রমিকদের বের করা যায়নি ৷ এর মধ্যে ওই টানেলের কাছে উদ্ধারকার্যের গতি বৃদ্ধির দাবিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে ৷
সোমবার থেকে ওই শ্রমিকদের অক্সিজেন, জল, শুকনো খাবারদাবার দেওয়া হচ্ছে ৷ মঙ্গলবার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে ড্রিল করে 900 মিমি ব্যাসের স্টিলের পাইপ বসানো হয়েছে ৷ এই পাইপের মধ্যে দিয়ে ওই শ্রমিকদের বের করার চেষ্টা চলছে ৷ এদিকে এর মধ্যে নির্মীয়মান টানেলের ছাদ থেকে আরও চাঙর খসে পড়ায় উদ্ধারকাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে ৷
তবে উদ্ধারকারীরা জেসিবি মেশিন দিয়ে ওই ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে ৷ এর সঙ্গে ওই বড় ড্রিল মেশিনের সাহায্যে স্টিলের পাইপটিকে টানেলের আরও মধ্যে ঢোকানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার বেলন, "যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য চলছে ৷ ড্রিল মেশিন দিয়ে ড্রিলিংয়ের কাজও করা হচ্ছে ৷ তবে প্রাকৃতিক কিছু কারণে ড্রিল মেশিন ধীর গতিতে কাজ করছে ৷" ঘটনাস্থলে রয়েছে এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, পুলিশ বাহিনী ৷