মুম্বই, 1 জুলাই :গুলশন কুমার হত্যা মামলায় (Gulshan Kumar Murder Case) মুম্বই দায়রা আদালতের রায়কেই বহাল রাখল বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)৷ এর ফলে ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত আব্দুল রউফ (Abdul Rauf) ওরফে দাউদ মার্চেন্টের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই বহাল থাকল ৷ আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল এই রউফ ৷
টি-সিরিজের প্রতিষ্ঠাতা গুলশন কুমার হত্যা মামলায় 2002 সালে আবদুল রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল মুম্বইয়ের দায়রা আদালত ৷ বলিউডের মিউজিক ব্যারনের হত্যার 24 বছর পর সেই সংক্রান্ত মামলায় আজ রায় দিল বম্বে হাইকোর্ট ৷
আরও পড়ুন:ইউরোপীয় ইউনিয়নের আটটি দেশে স্বীকৃতি পেল সেরামের কোভিশিল্ড
রউফের ভাই আব্দুল রশিদকে বেকসুর খালাস করেছিল মুম্বইয়ের দায়রা আদালত ৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আপিল করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার ৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতে রশিদকে দোষী সাব্যস্ত করেছে বম্বে হাইকোর্ট ৷ এর ফলে এ বার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করবে রশিদও ৷ সে 1997 সাল থেকে নিম্ন আদালতের রায় বেরনো পর্যন্ত জেলেই ছিল ৷ রশিদকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ ব্যবসার ক্ষেত্রে গুলশন কুমারের প্রতিদ্বন্দ্বী রমেশ তৌরানিকে বেকসুর খালাস করেছিল আদালত ৷ সেই রায়কে বহাল রেখেছে বম্বে হাইকোর্ট ৷
আরও পড়ুন:রাস্তায় অমিল বেসরকারি বাস, অটো ভাড়া আকাশছোঁয়া ; চরম দুর্ভোগে আমজনতা
1997 সালে হত্যা করা হয় গুলশন কুমারকে ৷ প্রতিদিন তিনি একটি মন্দিরে পুজো দিতে যেতেন ৷ সেই মন্দিরের বাইরেই হত্যা করা হয় টি-সিরিজের প্রতিষ্ঠাতাকে ৷ তাঁকে দু মাস ধরে নজরে নজরে রেখেছিল রউফ ও অন্যান্য হত্যাকারীরা ৷ সে দিন সুযোগ বুঝে কুমারকে গুলি করে হত্যা করে তারা ৷ আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের নির্দেশেই গুলশন কুমারকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে ৷
যাবজ্জীবন সাজা পাওয়ার পর 2009 সালে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে রউফকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলে, সে সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে যায় ৷ কোনও বৈধ নথি ছাড়াই বেআইনিভাবে রউফ বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিল ৷ বেআইনি অনুপ্রবেশ করে সে দেশে থাকার জন্য পাঁচ বছরের হাজতবাস হয় তার ৷ সেই শাস্তির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে 2014 সালের ডিসেম্বর মাসে ফের তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ এর দু‘বছর পর তাকে মুম্বই অপরাধ দমন শাখার হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ ৷
আরও পড়ুন:পরিবহণ চালুর প্রথম দিনই রেড রোডে দুর্ঘটনায় মিনিবাস, মৃত্যু পুলিশ কর্মীর
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রউফের করা আবেদনে রায়দানে বিচারপতি সাধনা এস যাদব ও বিচারপতি এনআর বোরকর বলেন, ‘‘হাজতবাসের ক্ষেত্রে কোনও রকম নরম মনোভাব দেখানো হবে না রউফের ক্ষেত্রে ৷ হত্যা করার পর পালিয়েও গিয়েছিল সে, 2001 সালে তাকে আবার গ্রেফতার করা হয় ৷’’
আজকের রায়ের পর রউফের আইনজীবী সতীশ মানেশিণ্ডে বলেছেন, "আমার মতে এই মামলায় যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না ৷ তবে, আদালত যখন একে অপরাধ হিসেবে মেনে নিয়েছে, তখন এর কারণগুলি খতিয়ে দেখে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ করব ৷"
