আমেদাবাদ (গুজরাত), 8 ফেব্রুয়ারি: আদালতে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ ওঠে বারবার ৷ বিশেষ করে দেওয়ানি মামলার (Civil Case) ক্ষেত্রে এই অভিযোগ সবচেয়ে বেশি ওঠে ৷ এমন একটি অভিযোগের জেরে ক্ষমা চাইতে হল ন’জন বিচারককে ৷ বুধবার তাঁরা ক্ষমা চেয়েছেন হাইকোর্টের কাছে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতে ৷ এর পর গুজরাত হাইকোর্টের (Gujarat High Court) তরফে নিম্ন আদালতগুলিতে বিচার প্রক্রিয়ায় গতি আনার কথা বলা হয়েছে ৷
বিষয়টি ঠিক কী: গুজরাতের আনন্দ জেলা আদালতে 1977 সালে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের হয় ৷ তার পর প্রায় 45 বছর পেরিয়ে গেলেও সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি বলে অভিযোগ ৷ সেই নিয়ে মামলা হয় গুজরাত হাইকোর্টে ৷ ওই মামলায় অভিযোগ উঠেছিল নিম্ন আদালতের ন’জন বিচারকের বিরুদ্ধে ৷ হাইকোর্ট দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশও দেয় ৷ তার পরও কাজ না হওয়ায় আদালত ওই বিচারকদের বিরুদ্ধে অবমাননার (Contempt of Court) নোটিশ জারি করে ৷ তারই প্রেক্ষিতে ওই ন’জন বিচারক ক্ষমা চেয়েছেন ৷
আদালত সূত্রে খবর, এদিন এই নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গুজরাত হাইকোর্ট ৷ কেন মামলার নিষ্পত্তিতে এত সময় লাগছে, সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত ৷ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আইনের শাসন সবচেয়ে উপরে থাকা উচিত ৷ একই সঙ্গে আদালতের তরফে গুজরাতের সমস্ত নিম্ন আদালতগুলিকে দ্রুত শুনানির উপর জোর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ ফৌজদারি মামলার যেমন গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত শুনানি করা হয়, একই ভাবে দেওয়ানি মামলাতেও দ্রুত শুনানি করার কথা বলা হয়েছে আদালতে ৷ এই নিয়ে গুজরাতের হাইকোর্টের তরফে ওই রাজ্যের আদেশও জারি করা হয়েছে ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, দেওয়ানি মামলার শুনানিতে অনেক সময় লাগে বলে অভিযোগ ওঠে ৷ অনেক ক্ষেত্রে কয়েক দশক পেরিয়ে যায় বলেও অভিযোগ ৷ গুজরাতেও সেই একই অভিযোগ উঠেছে ৷ এখন দেখার গুজরাত হাইকোর্টের নির্দেশের পর ওই রাজ্যের নিম্ন আদালতগুলিতে মামলার নিষ্পত্তিতে গতি আসে কি না !
আরও পড়ুন:মোরবি সেতু বিপর্যয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ গুজরাত হাইকোর্টের, নোটিশ রাজ্যকে