আহমেদাবাদ, 3 নভেম্বর: গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের (Gujarat Assembly Elections) দিন ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)৷ বৃহস্পতিবার মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, দু দফায় হবে নির্বাচন ৷ প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে 1 ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় দফা 5 ডিসেম্বর ৷ ভোটগণনা হবে 8 ডিসেম্বর ৷ এ বার 182-সদস্যের গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে 10টি বিষয় (Top 10 issues in Gujarat Assembly elections) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে...
1. নরেন্দ্র মোদি: এখানে বিজেপির তুরুপের তাস হলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ যিনি 2001 থেকে 2014 সাল পর্যন্ত গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন । তিনি সেই চেয়ার ছেড়ে যাওয়ার পর আট বছর হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু তাঁর নিজের রাজ্যে অনুগামীদের উপর তাঁর আধিপত্য এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে এবং অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মনে করছেন যে, নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আসন্ন নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছেন ৷
2. বিলকিস বানো মামলার দোষীদের সাজা মকুব: গুজরাতকে সঙ্ঘ পরিবারের হিন্দুত্ব গবেষণাগার হিসাবে মনে করা হয় । বিলকিস বানো গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্তদের সাজা মকুবের প্রভাব সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ভিন্নভাবে পড়বে । মুসলিমরা বিলকিস বানোর জন্য ন্যায়বিচার দাবি করছেন, যেখানে হিন্দুদের একটি অংশ বিষয়টি উপেক্ষা করতে চাইছে ।
3. প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ:1998 সাল থেকে বিজেপির 24 বছরের শাসন সমাজের বিভিন্ন অংশে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের । রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক হরি দেশাই বলেছেন, জনগণের বিশ্বাস, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং জীবনের মৌলিক সমস্যাগুলি বিজেপি শাসনের এত বছর পরেও অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে ৷
4. মোরবি সেতু বিপর্যয়: 30 অক্টোবর মোরবিতে সেতু ধসে 135 জনের প্রাণহানির ঘটনায় প্রশাসন এবং ধনী ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোপন আঁতাতের অভিযোগ সামনে এসেছে । পরবর্তী সরকার নির্বাচন করতে ভোট দেওয়ার সময় এই বিষয়টি জনগণের মনে প্রাধান্য পাবে ।
5. সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও স্থগিত হওয়া: ঘন ঘন প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায়, সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা যুব সম্প্রদায়ের মন ভেঙে যাচ্ছে ৷ যার ফলে তাঁদের মধ্যে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে ৷