গিরিডি (ঝাড়খণ্ড), 22 মার্চ: চারদিনের শিশুকে বুট দিয়ে পিষে মারার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে (Police Accused of Crushing Newborn to Death) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) জামুয়াতে ৷ সেখানকার গিরিডি জেলার দেউড়ি থানার এক পুলিশ কর্মী এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৷ বিষয়টি সামনে আসার পর হইচই পড়েছে সর্বত্র ৷ এই নিয়ে গিরিডির পুলিশ সুপার অমিত রেনুর নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে । পুলিশ পরিদর্শক সহদেব প্রসাদ তদন্ত করছেন । ডিএসপি সঞ্জয় রানা ও খোরিমহুয়ার এসডিপিও মুকেশ কুমার মাহাতো পুরো বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরে দেউড়ি থানার ওসি সঙ্গম পাঠকের নেতৃত্বে পুলিশ যায় স্থানীয় কশোগন্দ দিঘি গ্রামে ৷ ভূষণ পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তিকে ধরতে ওই গ্রামে পুলিশ যায় ৷ ভূষণের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল পুলিশের কাছে ৷ পুলিশ গিয়ে পৌঁছায় ভূষণের বাড়িতে ৷ সেখানে তখন পরিবারের অন্য সদস্যরা ছিলেন ৷ তাঁরা পুলিশ দেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন ৷ বাড়ির মধ্যে চারদিনের সদ্যোজাতকে চৌকিতে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখেই বেরিয়ে আসেন তাঁরা ৷
যে নবজাতক সেখানে ছিল তাঁর বাবার নাম রমেশ পাণ্ডে ৷ আর মায়ের নাম নেহা পাণ্ডে ৷ রমেশ ও নেহার দাবি, পুলিশ কর্মীরা প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন । তাঁদের সন্তান চৌকিতে ঘুমিয়ে ছিল । পুলিশ তল্লাশি করে বেরিয়ে যান ৷ তার পর তাঁরা বাড়িতে যান ৷ গিয়ে দেখেন শিশুটি একেবারে নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ নেহা ও ওই বাড়ির অন্য সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশকর্মীর পায়ে পিষ্ট হয়েই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে ।