নয়াদিল্লি, 02 নভেম্বর: নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই । এ বার দল নিয়ে অনিশ্চয়তার সুর ধরা পড়ল বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গোলাম নবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad) গলাতেও । 2024-এর লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বিজেপি বিরোধী জোটে কংগ্রেসের (Congress Faces Flak) ভূমিকা নিয়ে একদিকে যখন কাটাছেঁড়া চলছে, সেই সময় আজাদও জানিয়ে দিলেন যে, সংসদে 300 আসনের ধারেকাছেও কংগ্রেসকে দেখতে পাচ্ছেন না তিনি ।
নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কংগ্রেসে আগেই বিক্ষুব্ধ বলে চিহ্নিত হয়েছেন আজাদ । মাস কয়েক আগে রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইদানীং দলের হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতেও দেখা যায় না তাঁকে । কিন্তু বুধবার উপত্যকার পুঞ্চে একটি সভা থেকে দলের ভবিষ্যৎ নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা গেল তাঁকে ।
আরও পড়ুন:Prashant Kishor Attacks Congress : নেতা হওয়া কারও ঐশ্বরিক অধিকার হতে পারে না, কংগ্রেসকে আক্রমণ প্রশান্তর
সব দিক খতিয়ে দেখে উপত্যকাকে রাজ্যের মর্যাদা (Jammu Kashmir Article 370) ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে কিছুদিন আগে মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । কিন্তু 370 অনুচ্ছেদের প্রশ্নে কোনও পক্ষকেই বিশ্বাস করতে নারাজ আজাদ । তাঁর কথায়, ‘‘370 অনুচ্ছেদের মামলা আদালতে ৷ যা হাতে নেই, মানুষকে তুষ্ট করতে তা নিয়ে কোনও হাঁকডাক করতে চাই না আমি ৷ আপনাদের চাঁদ-তারা কিছুই দিতে পারব না ৷ আদালত ছাড়া যদি কেউ কিছু করতে পারে, বর্তমান সরকারই পারে ৷ কারণ তারাই প্রত্যাহার করেছিল ৷’’
কিন্তু ক্ষমতায় এলে উপত্যকাকে হৃত মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেড়াচ্ছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব, সেই প্রশ্নে আজাদের বক্তব্য, ‘‘2024-এ কংগ্রেস জিতলে কিছু করা যাবে, তা-ও বলতে পারছি না আমি ৷ উপরওয়ালা চাইলে অবশ্যই জিতব আমরা, কিন্তু এই মুহূর্তে তা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখছি না আমি ৷ আমাদের 300 সাংসদ কম পড়ছে ৷ 2024-এ লোকসভায় 300 আসনে জিততে পারলেই তা সম্ভব ৷ এই মুহূর্তে কংগ্রেসকে তার ধারেকাছে দেখতে পাচ্ছি না আমি ৷’’
আরও পড়ুন:Kapil Sibal Tweets on UPA : কংগ্রেস ছাড়া ইউপিএ আত্মাহীন দেহ, মমতাকে পালটা কপিলের
2022 সালে উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচন করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র ৷ সেখানে জয় নিয়ে একপ্রকার আশাবাদী বিজেপি ৷ সেই সময় আজাদের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতি মহল ৷ কারণ কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সংঘাত কারও কাছেই চাপা নেই ৷ কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি থেকে গত মাসেই বাদ পড়েছেন তিনি ৷ প্রদেশ কংগ্রেসেও তাঁকে নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া চলছে ৷ এমন পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর নতুন দল গড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ৷
কিন্তু আজাদের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস ৷ তাদের দাবি, একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে এমন মন্তব্য করেন আজাদ ৷ তার বাইরে তাঁর মন্তব্যকে বড় করে দেখা উচিত নয় ৷ তবে ঘরে-বাইরে যে ভাবে কংগ্রেসকে নিয়ে ক্ষোভ উঠে আসছে, তাতে সনিয়া গান্ধি এবং রাহুল গান্ধির আত্মসমীক্ষার সময় এসেছে বলে মনে করছেন অনেকেই ৷