হায়দরাবাদ, 3 ডিসেম্বর: চব্বিশের লোকসভার আগে চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড় ৷ এরই মধ্যে অবশ্য তেলেঙ্গানায় বিআরএস-এর থেকে কুর্সি ছিনিয়ে নিয়েছে 'হাত' ৷ আর এর পিছনে যার পরিশ্রম কার্যত অনস্বীকার্য, তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অনুমুলা রেভান্থ রেড্ডি ৷ বিজেপি যে দক্ষিণের এই রাজ্যকে একেবারে খোলা ময়দান ছেড়ে রেখেছিল তাও একেবারে নয় ৷ কর্ণাটকের হারের পর দল রাজ্যের সভাপতি বান্ডি সঞ্জয়কে পর্যন্ত সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ সেই জায়গায় কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী কিষাণ রেড্ডিকে রাজ্যে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয় ৷ তার পরও অবশ্য ভোটের ফলে অনেকটাই পিছিয়ে থাকল গেরুয়া শিবির ৷ অন্যদিকে বিজেপির হেভিওয়েট প্রচার, বিআরএস-এর 'সেন্টিমেন্ট'-এর সঙ্গে লড়াই করে কংগ্রেসকে দক্ষিণের আরও একটি রাজ্য উপহার দিলেন রেভান্ত ৷ আর তিনিই যে দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী, তাও একপ্রকার নিশ্চিত ৷
তবে রেভান্তের রাজনৈতিক পথের চলার শুরু এবিভিপি-এর সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ৷ ঘুষের অভিযোগের জেরে মধ্যে কিছু সময়ের জন্য জেলেও যেতে হয়েছিল তাঁকে ৷ 56 বছর বয়সী কংগ্রেস নেতা পরিচিত অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, পার্টিম্যান হিসাবে ৷ জনগণের মধ্যে তাঁর ইতিবাচক মনোভাবের জন্য সুবিদিত রেভান্ত। বিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তীব্র সমালোচক, তেলেঙ্গানা কংগ্রেসের প্রধান রেভান্ত রেড্ডি প্রায়ই বিআরএস এবং এআইএমআইএম-এর রাজনৈতিক আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন। 2015 সালে 'ভোটের জন্য নগদ ঘুষ' মামলার বিষয়ে এবং টিডিপি প্রধান এন চন্দ্রবাবু নাইডুর 'এজেন্ট' হওয়ার অভিযোগে বিআরএস নেতারা তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেন ৷ এরপর দল পরিবর্তন করেন রেভান্ত ৷ সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও এআইএমআইএম সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়েইসি তাঁর এবিভিপি ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে রেভান্তকে নিশানা করেছেন।