পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাইয়ের বক্তব্য নয়াদিল্লি, 11 সেপ্টেম্বর: অতিরিক্ত মাত্রায় দূষণে ভরে গিয়েছে রাজধানীর বাতাস ৷ ফলস্বরূপ এবারের দীপাবলিতে বাজি ফাটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করল দিল্লি প্রশাসন ৷ এই বিষয়ে সোমবার দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এখন থেকে বাজি তৈরি, সংরক্ষণ ও বিক্রি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৷ এর জন্য দিল্লি পুলিশকে আতশবাজি তৈরি, স্টোরেজ, বিক্রি ও ডেলিভারির জন্য কাউকে লাইসেন্স না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ জনগণের সচেতনতা ও সরকারের সমস্ত প্রচেষ্টার কারণে যতদিন যাচ্ছে দিল্লিতে দূষণ আগের থেকে কমছে ৷ কিন্তু দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এখনও কাজ করা বাকি আছে ৷ দূষণ প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের জন্যই খুব বিপজ্জনক ৷
তিনি আরও জানান, আতশবাজি পোড়ানোর ফলে প্রচুর বায়ুদূষণ হয় ৷ তাই ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নিয়ম মেনে দিল্লিতে বাজি তৈরি, সংরক্ষণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৷
পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশ বাজি তৈরি, বিক্রি ও সংরক্ষণের লাইসেন্স দিয়ে থাকে ৷ তাই তাদেরকে এবার নির্দেশ দিয়ে লাইসেন্স দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে ৷ যাতে দিল্লিকে দূষণমুক্ত করা যায় ৷ তবে অন্যান্য রাজ্যের কাছেও বাজি নিষিদ্ধ করার আবেদন জানানো হয়েছে ৷ কারণ অন্যান্য রাজ্যে আতশবাজি পোড়ানোর ফলে সৃষ্টি হওয়া দূষণ দিল্লির বাতাসেও আসে ৷ তাই সব রাজ্যেই বাজি নিষিদ্ধ করা উচিত ৷ দীপাবলিতে আতশবাজি পোড়ানো মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গ সম্পর্কিত হলেও স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ লোকেরাও এটি সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে ৷ মঙ্গলবার দূষণ রোধে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে একটি শীতকালীন কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে ৷ তারপর তা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছএ পেশ করা হবে ৷ সেখানেই ঠিক হবে কবে থেকে তা দিল্লিতে লাগু করা হবে ৷
গতবছরও দূষণ রোধে একই পদক্ষেপ করেছিল দিল্লি প্রশাসন । বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে । বাজি পোড়ালেই জেল হবে বলেও নির্দেশিকা জারি হয় । এবারও এর অন্যথা হল না ।
আরও পড়ুন : বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লি, 12 বছর আয়ু কমতে পারে রাজধানীর বাসিন্দাদের; জানাচ্ছে সমীক্ষা