পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Father Kills Daughter: স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জেরে ইন্দোরে মেয়েকে 'খুন' বাবার - সাত বছরের শিশু কন্যাকে খুন

স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলার জেরে প্রাণ গেল সাত বছরের শিশুর ৷ খুন করার পর বাবা মেয়ের দেহ লোপাট করার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ ৷ প্রতিবেশীরা তাকে হাতানাতে ধরে ফেলে অভিযুক্তকে ৷

man kills daughter
বাবার হাতে খুন মেয়ে

By

Published : Jun 4, 2023, 1:05 PM IST

ইন্দোর, 4 জুন:মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী মধ্যপ্রদেশে ৷ স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জেরে সাত বছরের শিশু কন্যাকে খুনের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোরের দ্বারকাপুরী এলাকায় ৷ সূত্রের খবর, মেয়ের দেহ লোপাটের চেষ্টা করার সময় ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায় ৷ প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয় ৷ পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে ৷

জানা গিয়েছে, ওই এলাকার ঋষি প্যালেস কলোনিতে থাকেন রাকেশ নামে এক ব্যক্তি ৷ তার সঙ্গে স্ত্রীর বিবাদ হয় ৷ সেই বিবাদের জেরে তিনি তাঁর সাত বছরের নিষ্পাপ মেয়েকে হত্যা করেন । পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিল ৷ সেই সময় সে মেয়েকে হত্যা করে । শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ৷

অভিযুক্ত বাবা মেয়ের দেহ কাঁধে নিয়ে বিহার গার্ডেনে লোপাটের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ । দেহটি জলে ফেলে দেওযার জন্য রাকেশ সেটিকে বস্তায় ভোরে ঝিলের কাছে নিয়ে যাচ্ছিল ৷ সে সময় কোনওভাবে বস্তার মুখ খুলে যায় । আর দেহটির মাথা থেকে শুরু করে রক্তাক্ত হাত বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছিল। তখন তারা রাকেশকে থামায় এবং বস্তা খুলে দেখেন তা থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করে ৷

সূত্রের খবর, অভিযুক্ত এতটাই মদ্যপ ছিল যে প্রতিবেশীদের প্রশ্নের জবাবে কিছুই বলতে পারছিল না । এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য এমওয়াই হাসপাতালে পাঠায় । পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা দ্বারকাপুরী থানায় পৌঁছে অভিযুক্ত বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ।

আরও পড়ুন:ভিনজাতের ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক, মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মেয়েকে খুন বাবার

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জেরে রাকেশ এই ঘটনা ঘটিয়েছেন ৷ জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তের মানসিক সমস্যা আছে ৷ তিনি পেশায় শ্রমিক ৷ বাড়ির কাছাকাছি কোনও এক জায়গায় কাজ করেন রাকেশ । পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে ৷ শিশুটির মা ও পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details