বিএমডব্লিউ গাড়ির মাথায় পশুর খাবার সমস্তিপুর (বিহার), 5 সেপ্টেম্বর: বিএমডব্লিউ-র মালির হলে আপনি কী করবেন? নিশ্চই দামি গাড়িটির যত্নে ত্রুটি রাখবেন না ৷ কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো দেখে গাড়িপ্রেমীদের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার দশা ৷ যে গাড়ি কিনতে মোটামোটি কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ হয় তাতে নাকি নিয়ে আসা হচ্ছে গরুর খাবার ! কল্পনা করতে কষ্ট হলেও এমনই ঘটেছে বিহারে!
সমস্তিপুর শহর সংলগ্ন জিতওয়ারপুরের বাসিন্দা অংশু নামে এক কৃষক বিএমডব্লিউ গাড়ি চালান। তাঁর এই মহার্ঘ গাড়িতেই নাকি পশুর খাবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ৷ ইতিমধ্যেই ভিডিয়োটি 2.7 মিলিয়ন মানুষ দেখে ফেলেছেন ৷ প্রায় 3 লাখ 28 হাজার মানুষ শেয়ার করেছেন ভিডিয়োটি।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে অংশু তাঁর বিএমডব্লিউ গাড়ির ছাদে সবুজ ঘাস খামার থেকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন ৷ জিতওয়ারপুর চাঁদনি চকে কেউ এই ভিডিয়োটি তৈরি করেন ৷ তারপর তা সামাজিক মাধ্যমে দিতে দেন ৷ মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় এটি। জানা গিয়েছে, এই বিএমডব্লিউ গাড়িটির দাম প্রায় ১ কোটি টাকা ৷ তবে গাড়ির নম্বর প্লেট ছিল না।
ভিডিয়োটি দেখে নেটিজেনরা একাধিক মন্তব্য করেছেন ৷ একজন লিখেছেন, "গাড়িটি চুরির বলে মনে হচ্ছে। তাই নম্বর প্লেটটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বাইরে গেলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয় আছে তাই এভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷" তাছাড়া অংশুর পোশাককে হাতিয়ার করেও কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে। সামাজিক মাধ্যমে লেখা হয়েছে, "চশমা-ফুল প্যান্ট পরে কে পশুর খাবার আনতে যায় !" কটাক্ষের সুরে আরেক নেটিজেনের প্রশ্ন, "ভাই বিএমডব্লিউর নম্বর প্লেট কোথায় ? চুরি হয়ে গিয়েছে নাকি।" আবার কেউ লিখেছেন, "এটা বিহার ৷ এখানে সবকিছু সম্ভব।" আবার কেউ লিখেছেন, গাড়ির মালিককে দেখে চালক বলেই মনে হয়। কিস্তি এখনও বাকি আছে বলে গাড়ির নম্বর প্লেট খোলা!"
আরও পড়ুন: ভক্তের এ কী কাণ্ড! মনের মতো পাত্রী না-পেয়ে শিবলিঙ্গ ছুড়ে শ্রীঘরে যুবক
ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে গাড়ির মালিক বলেন, "আমার ট্রাভেলসের ব্যবসা ৷ স্করপিও, থর-সহ আরও অনেক গাড়ি আছে। আমরা কৃষক। বাড়িতে গবাদি পশুও আছে। সমস্তিপুর শহরে গরুর খাওয়ার জন্য সবুজ চারা গাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পশুখাদ্য আনতে বাড়ি থেকে দূরে যেতে হয়েছে। গাড়িটি আমার। 7-8 বছর ধরে ব্যবহার করছি ৷ এটি চুরির গাড়ি নয় ৷ বিএমডব্লিউ-তে পশুখাদ্য নিয়ে যাওয়ার সময় কেউ একজন সেই ভিডিয়ো ভাইরাল করেছে।"