বারাণসী, 11 ডিসেম্বর: মহাজনদের থেকে দফায় দফায় হুমকি, ঠিক এই কারণ সুইসাইড নোটে লিখে আত্মহত্যা একই পরিবারের চারজনের ৷ বারাণসীর ধরমশালার ঘটনা। মৃত চার জনেই অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা ৷ এই ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশের তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বারাণসী পুলিশ ৷
পুলিশ ধর্মশালার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছে ৷ তাতেই অনেক কিছু প্রকাশ পেয়েছে । অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার বাসিন্দা 50 বছর বয়সি কোন্ডা বাবু, তাঁর স্ত্রী লাবণ্য (45), ছেলে রাজেশ (25) এবং জয়রাজ (22) গত বুধবার আত্মহত্যা করেন । শনিবার গভীর রাতে বারাণসীতে 'ধর্মশালা' পরিচালনাকারী ট্রাস্ট তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ।
পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সুইসাইড নোট অনুসারে জানা গিয়েছে জনৈক পান্তগাল প্রসাদের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন রাজেশ । এক মল্লি বাবু রাজেশকে এই ঋণ পেতে সাহায্য করেছিলেন । তারপর রাজেশ ঋণ হিসেবে 20 লাখ টাকা দাবি করেছিল । ঋণ শোধ না করলে মল্লি তাদের সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন । মল্লি এও বলেছিলেন যে, যদি পরিবার পুলিশের কাছে যায় তবে তাদের অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো জেলে পাঠানো হবে । পুলিশ আরও জানিয়েছে যে সুইসাইড নোট অনুসারে, মল্লি বাবু নিজেকে ওয়াইএসআরসিপি মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলতেন এবং বারবার হুমকি দিয়ে পরিবারকে হয়রানি করছিলেন ।
রাজেশ মণ্ডপেটায় 'দুর্গা ডিভভেট অটো কনসালটেন্সি' দোকানে কাজ করতেন । সুইসাইড নোট অনুসারে, তিনি এবং তাঁর বাবা 10টি সাদা কাগজ এবং 20টি বন্ডে স্বাক্ষর করেছিলেন ৷ তেলুগু ভাষায় লেখা সুইসাইড নোটে রাজেশ দাবি করেছেন, হুমকির কারণে তাঁরা শহর ছেড়েছেন । মল্লি বাবু তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন ৷
রাজেশ সুইসাইড নোটে লিখেছেন,"আমাদের কাছে খুব কম টাকা ছিল । তারপর থেকে আমরা দুই মাস কলকাতা, তামিলনাড়ু, হরিদ্বার এবং বারাণসীতে থাকি । টাকাও ফুরিয়ে গেল । আমাদের মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে এবং কেউ মরার সময় মিথ্যা বলবে না । আমাদের মৃত্যুর কারণ তিনজন ৷ পান্তগদল প্রসাদ, রামিরেড্ডি বীর লক্ষ্মী এবং মল্লি বাবু । আমরা আশা করি আমাদের প্রতি ন্যায়বিচার হবে । এর মধ্যে কাউকেই রেহাই দেওয়া উচিত নয় ৷"